মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্করশিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার আগে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় তার প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধা জানানো হবে।
Advertisement
এরপর ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সামাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার দুই ছেলে দেশের বাইরে রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বুধবার দেশে ফিরবেন। এরপর বৃহস্পতিবার তার প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, তার মরদেহ আজ মঙ্গলবার বিকেলে বারিধারা পিংক সিটির বাসায় নেওয়া হবে। সেখান গোসল করিয়ে মরদেহ আবারও ল্যাব এইডের হিমঘরে এনে রাখা হবে।
Advertisement
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। সেসময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে কয়েক দফা চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।
একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।
Advertisement
এলএ/আরআইপি