জাতীয়

জাতীয় পাট দিবস আজ

আজ (৬ মার্চ) জাতীয় পাট দিবস। ‘সোনালী আশেঁর সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করা হবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ সকাল ১০টায় এ দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ও পাট পণ্যের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পাট নিয়ে রাজধানী ঢাকাবাসী ও ইট পাথরের এই শহরে বসবাসকারী অধিবাসীদের মধ্যে কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা না থাকলেও এ দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে রকমারি সাজসজ্জার মাধ্যমে জানান দেয়া হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে পাট, পাটখড়ি, পাটের পণ্য, রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড দিয়ে। এ ছাড়া আলোকসজ্জাও করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে নগরবাসীর নজর কাড়ছে এ সড়ক দ্বীপগুলো। এ দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পাট মন্ত্রণালয়।

পাট দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পাট দিবসের গুরুত্ব ও পাটসংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুলশিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দুই গ্রুপে এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছয়জনকে আজ পুরস্কৃত করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১১টি ক্যাটাগরিতে আরও ১২ জনের হাতে পাট দিবসের পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।

Advertisement

জাতীয় পাট দিবস সামনে রেখে ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একডেমি মিলনায়তনে পাটের ক্যানভাসে শিল্পীদের আর্ট ক্যাম্প, ১ মার্চ মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে ফরিদপুর পর্যন্ত রোড শো এবং ২ মার্চ মানিকমিয়া এভিনিউ থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর পর্যন্ত রোড শো অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া ৩ মার্চ হাতিরঝিলে নৌ শোভাযাত্রা, ৪ মার্চ জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে কবিতা পাঠের আসর, ৫ মার্চ সিরডাপ মিলনায়তনে সেমিনার, ৬ থেকে ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাটপণ্যের মেলা, ৭ মার্চ ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাট খাতের উপর নির্ভরশীল জানিয়ে পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নিরন্তর চেষ্টায়’ পাট ও পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে ৬৬ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি।

Advertisement

এফএইচএস/বিএ