সাতকরা লেবু জাতীয় এক ধরনের ফল। সিলেটে সাতকরা বিভিন্ন বড় মাছ, ছোট মাছ ও মাংস দিয়ে রান্না করা হয়। সিলেটের এই ফলটি দিয়ে এবার তৈরি করা হবে চা। সেই চা বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রি করা হবে। পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন ‘নিউ সমনবাগ’ চা বাগানের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান আকন্দ।
Advertisement
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এনডিসি পিএসসির পরামর্শ ও উৎসাহে দীর্ঘ গবেষণার পর তিনি এ সফলতা অর্জন করেন। এব্যাপারে মো. শাহজাহান আকন্দ জানান, চা পাতার সঙ্গে সাতকরা মিশিয়ে এই চা তৈরি করা হয়। অনেকটা কমলা রঙের এই চা সুগন্ধি ও সুস্বাদু। বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে এই চায়ের মোড়কও ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, এই চা তৈরি করাটা ব্যয়বহুল। প্রতি কেজি চায়ের খুচরা মূল্য হবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ টাকা। তবুও এটি জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে আশা করা যায়। কারণ প্রথম চুমুকের পর মুখের ভেতর একটি চমৎকার অনুভূতি পাওয়া যায়। যা অন্য যেকোনো চা থেকে আলাদা।
জানা যায়, চায়ে সাতকরা মেশানোর পর পরীক্ষামূলকভাবে অল্প কাঁচা সাতকরা ও শুকনো সাতকরা চায়ের লিকার তৈরির সময় ইনফিউসড লিফের সঙ্গে অথবা শুধু লিকারের সঙ্গে মিশিয়ে পরীক্ষা করার পর দেখা যায়, কাঁচা সাতকরা মেশানো চায়ের স্বাদ ও গন্ধ লেবু দিয়ে তৈরি চায়ের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বেশি সুস্বাদু।
Advertisement
সাতকরা মেশানো চায়ের লিকার দেখতে মধ্যম উজ্জ্বল সোনালি রঙের। খুব হালকা চিনি মেশালে স্বাদে একটু বৈচিত্র্য আসে। সাতকরা চায়ের লিকারে বরফ কিংবা ঠান্ডা করেও গরমকালে পান করলে অবশ্যই প্রশান্তি আসবে। এটি একটি উৎকৃষ্ট পিওর অ্যারোমেটিক ন্যাচারাল ড্রিংকস।
সাতকরা চায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- বৃষ্টির পানি ব্যবহারে কাঙ্ক্ষিত স্বচ্ছ লিকার পাওয়া যায়, যা স্বাভাবিক চায়ে থাকে না। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০ কেজি চা বাজারজাতকরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই চায়ের ব্র্যান্ডিং নাম হবে ‘সাতকরা চা’। সর্বপ্রথম শ্রীমঙ্গলে এই চা বাজারজাত করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে।
এসইউ/এমএস
Advertisement