‘প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছি মধু আহরণের জন্য ছুটে যাচ্ছে। আবার মধু নিয়ে ফিরে আসছে চাকে। সারাক্ষণ বাড়িটি মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে থাকে।’ কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আহমাদ আলীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন। ছোট্ট ওই বাড়িটির চারপাশে প্রায় অর্ধশত মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। এসব মৌচাক দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ।
Advertisement
সরেজমিন দেখা যায়, আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের আহমাদ আলীর বাড়ির ছাদ ও দেয়ালে প্রায় অর্ধশত মৌমাছির চাক বসেছে। এসব মৌচাক প্রাকৃতিক। আর বাড়ির মালিক এসব চাক থেকে দীর্ঘদিন ধরে মধু সংগ্রহ করছেন।
বাড়ির মালিক মো. আহমাদ আলী জানান, প্রায় তিন থেকে চার বছর ধরে তার বাড়িতে মৌমাছির চাক রয়েছে। তবে সরিষা মৌসুমে চাকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এসব মৌচাক থেকে শুধু সরিষা মৌসুমে মধু সংগ্রহ করা হয় দুবার। প্রতিবার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি করে মধু সংগ্রহ করেন তিনি। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফুল ও পানি স্বল্পতার কারণে ৮ থেকে ১০টি মৌচাক থাকে। আবার আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস থেকে মৌচাকের সংখ্যা বেড়ে যায়।
তিনি জানান, মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই। ফলে ভালোভাবে মধু সংরক্ষণ করতে পারেন না। তবে মৌমাছি পরিচর্যা, মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়টি জানা থাকলে আরও বেশি মধু সংগ্রহ করতে পারতেন।
Advertisement
আহমাদ আলীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন জানান, শুধু বাইরেই নয়, ঘরের মধ্যেও মৌমাছি যায়। কিন্তু বাচ্চাদের হুল ফোটাতে পারে এ আশঙ্কায় চাক তৈরি করতে দেয়া হয় না। তা না হলে গোটাবাড়িই মৌচাকে ভরে যেত। এক বাড়িতে এত মৌচাক দেখতে প্রতিদিনই শত শত মানুষ আসে। মধুর চাক কাটতে অনেক মধু ব্যবসায়ীরা আসেন। তারা দামের পরিবর্তে মধুর অর্ধেক ভাগ দিয়ে যান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে.এম কাউছার হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মৌমাছিদের জায়গা দিতে পারলে ব্যবসায়িকভাবে সফল হবেন আহমাদ আলী।
এফএ/পিআর
Advertisement