দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) আয়োজনে গত বছরই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ; কিন্তু হঠাৎ করেই এই লিগের উদ্যোক্তা এবং সিএসএ’র প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় পুরো লিগটিই চলে যায় অনিশ্চয়তার গভীর অন্ধকারে। শেষ পর্যন্ত সিএসএ গত বছর এই লিগটি স্থগিত ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জানানো হয়, পরবর্তী যে কোনো ভালো সময়ে আলোচনার ভিত্তিতে লিগটির আয়োজন করা হবে।
Advertisement
গত বছর অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি গ্লোবাল লিগ স্থগিত ঘোষণার পর এতদিন আলোচনাতেই ছিল না। এবার আবার হঠাৎ করে আলোচনায় উঠে এলো ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক এই প্রাইভেট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে এই লিগে নিবন্ধিত আটটি ফ্রাঞ্চাইজি। তারা চেষ্টা করছে, কখন, কোথায় এবং কিভাবে এই লিগটিকে আলোর মুখ দেখানো যায় কিংবা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ উত্তোলন করে ফেলা যায়- এ নিয়ে।
টি-টোয়েন্টি গ্লোবাল লিগের মোট আটটি দল। যার মধ্যে তিনটি রয়েছে আইপিএলের। দুপি পিএসএলের ফ্রাঞ্চাইজি মালিক। দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র একটি মালিক। প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি প্রাথমিক নিবন্ধন বাবদ সিএসএকে মোট আড়াইলক্ষ ডলার করে অগ্রিম পরিশোধ করে রেখেছে। যদিও তা ফেরতযোগ্য।
গত বছর অক্টোবরে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম আসর স্থগিত ঘোষণার পর ফ্রাঞ্চাইজিরা মাঝে-মধ্যেই এ নিয়ে সিএসএ’র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা এ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডকে তারা নানাভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছিল এবং বলার চেষ্টা করছিল, টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে গেলে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার সবই তারা করবে। কিন্তু সিএসএ’র পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো ‘রা’ শব্দটি পর্যন্ত ছিল না।
Advertisement
ফ্রাঞ্চাইজিদের পরিশোধিত অর্থ ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে সিএসএ’র অর্থভাণ্ডারে। এই টাকা ফেরতযোগ্য হলেও, তা কিভাবে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা ফেরত পাবে কিংবা টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে দারুণ চিন্তায় পড়ে গেছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। এরই প্রেক্ষিতে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিছু লস হলেও হয় তারা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে ফেলবে। নয়তো, পরবর্তী কোনো অর্থবহ সিদ্ধান্ত যদি নেয়া হয়, তাহলে সেটা মেনে নেবে।
ইতিমধ্যেই সিএসএ’র সঙ্গে বৈঠক করেছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। ডারবানের কিংসমিড থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে একটি লাক্সারি গলফ এস্টেটে। সেখানেই গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, বৈঠকটা এমনভাবে শেষ হয়েছে, যাতে নিশ্চিত নয়, প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টটি সত্যিই আলোর মুখ দেখবে কি না।
ক্রিকইনফোর রিপোর্টে জানা গেছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কেবল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা এই টুর্নামেন্টের অর্থনৈতিক মূল্য কতটা রয়েছে- সে হিসাব-নিকাশ করার পর। এ বিষয়ে আটটি সদস্য ফ্রাঞ্চাইজি এবং সিএসএর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী থাবাং মোরায়ে এবং প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নাসেই আপিয়াহসহ বেশ কয়েকজন কাজ করছেন। তারা বাজার যাছাই করেই তবে, একটা চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করবেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ সত্যিই মাঠে গড়াবে কি না।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement