ধর্ম

ইবাদতকালীন সময়ে যে মানসিকতা পোষণ করবেন

ইবাতদ-বন্দেগি এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আনুগত্য ও বিনয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হলো ইবাদত। ইবাদতকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হলো- শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। যে ইবাদতে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা নেই সে ইবাদতে আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশ পায় না।

Advertisement

ইবাদতে শ্রদ্ধা, ভালবাসা, আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশের মাধ্যমে এক জন মুমিন ইবাদতে মুখলিস হয়ে ওঠেন। নিজেকে আল্লাহর ইবাদতে বিলিন করে দেন। তখন আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে অন্য কোনো কিছুর অবস্থান থাকেন। কোনো পর্দা থাকে না। আর এ ইবাদতই হলো হাদিসের ভাষায় ইহসান।

যে ব্যক্তি ইবাদতে ইহসান লাভ করতে পারবে; সেই হবে দুনিয়া আখেরাতে সফলকাম। ইবাদতের এ সফলতা লাভের জন্য প্রত্যেক মুমিন মুসলমানকে একান্তভাবে দু’টি স্তর মেনে ইবাদত বন্দেগি করতে হবে। তবেই সফলতা সম্ভব। আর তাহলো-

>> আল্লাহকে দেখে ইবাদত করা।

Advertisement

মানুষ যখন আল্লাহ তাআলার ইবাদতের উদ্দেশ্যে মনস্থির করবে বা ইবাদত শুরু করবে; তখন তাঁকে (ইবাদতকারীকে) মনে করতে হবে যে, সে আল্লাহ তাআলাকে দেখছে। সরাসরি আল্লাহ তাআলার সামনে হাজির হয়ে ইবাদত করছে। আর আল্লাহ তাআলা তাঁকে এবং তাঁর ইবাদত-বন্দেগি দেখছেন।

>> আল্লাহ বান্দার ইবাদত দেখেন

প্রথম স্তরের পর বান্দার অন্তরে এ চিন্তা থাকবে যে, আমি যদিও আল্লাহ তাআলাকে দেখতে পাই না। মহান আল্লাহ তাআলা কিন্তু আমার সব কর্মকাণ্ড দেখছেন। আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজ আল্লাহ তাআলা প্রত্যক্ষ করছেন। এ মানসিকতা পোষণ করে দিন যাপন করা। তবেই মানুষের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে গণ্য হবে। আর সফলতা ওই বান্দার জন্য সুনির্ধারিত।

পরিশেষে...প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিভাষায় এ ইহসান ইবাদতের সর্বোচ্চ স্তর। আল্লাহ তাআলাও মানুষের ইবাদতের ধরণ বর্ণনা করতে গিয়ে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের ইবাদতের একটি নমুনা তুলে ধরে উপদেশ দিচ্ছেন-

Advertisement

‘যে (ব্যক্তি) আল্লাহর নির্দেশের সামনে (বিধি-বিধান পালনে) মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইবরাহিমের ধর্ম (জীবন ব্যবস্থা) অনুসরণ করে, তার চেয়ে দ্বীনের ব্যাপারে আর কে উত্তম হতে পারে?’ (সুরা নিসা : আয়াত ১২৫)

সুতরাং কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক ইখলাসপূর্ণ ইবাদতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সচেষ্ট হই। প্রিয়নবির শেখানো ইহসান অবলম্বন করে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা অর্জনে সচেষ্ট হই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইহসানের সঙ্গে তাঁর যাবতীয় বিধি-বিধানসহ ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম