উগ্র ধর্মান্ধদের হুমকির মধ্যে থাকা জনপ্রিয় লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ঘটনার সময় মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার আগমুহূর্তে তোলা বিভিন্ন স্থিরচিত্রতেও দেখা গেছে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের দুজন মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন আর পুলিশের একজনের পরই হামলাকারী যুবক দাঁড়িয়ে আছেন।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সয়মও তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৩ পুলিশ সদস্য।
তবে এসময় উপস্থিত থাকা তিন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজনই তাদের মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ওই হামলাকারী যুবক ফয়জুরকে।
Advertisement
আর এরপর থকেই অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছে সেখানে উপস্থিত থাকা সকল ছাত্র-শিক্ষক।
নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নওশাদ সজীব জানান, জাফর ইকবাল স্যারের পাশে পুলিশ অবস্থান করতে দেখা গেলেও পুলিশ কোনো তৎপর ভূমিকা পালন করেনি।
শাবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত একটি রোবটিক্স প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন তিনি।
তবে ছাত্র-শিক্ষকের এ দাবি অস্বীকার করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, হয়তো অনুষ্ঠানের বিরতির কোনো এক সময় এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত করে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথা, পিঠে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস