শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী ছিল দু’জন। একজন পালিয়ে গেলেও হামলাকারী শফিকুর রহমান ওরফে ফয়জুর রহমানকে ধরে ফেলে শিক্ষার্থীরা। এরপর তাকে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।
Advertisement
পরে রাত সাড়ে নয়টায় হামলাকারী ফয়জুরকে র্যাব ও পুলিশ উদ্ধার করে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এরপর শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ।
তিনি বলেন, হামলাকারী যুবককে চিকিৎসার জন্য সিলেট জালালাবাদ সেনানিবাসস্থ সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে, সে তার পরিচয় ঠিকভাবে বলছে না। তার নাম সে একবার বলে শফিকুর রহমান, আরেকবার বলে ফয়জুর রহমান। জ্ঞান ফেরার পর ওই যুবককে প্রাথমিক কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে সে হামলার কারণ হিসেবে বলেছে, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তার উপর হামলা করেছি।
Advertisement
এদিকে শনিবার রাতেই এই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ফয়জুর রহমান। সে একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করেছে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ার কাপনে। তার বাবা হাফিজ আতিকুর রহমান সিলেটের টুকেরবাজার মহিলা মাদরাসার শিক্ষক। তারা বর্তমানে সিলেটের কুমারগাঁও এলাকার শেখ পাড়ায় একটি ভাড়া করা বাসায় থাকে।
এরপর র্যাব ও পুলিশ শেখ পাড়ার বাসায় অভিযান চালায়। তবে অভিযানের পূর্বেই বাসার লোকজন দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হামলাকারীর মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান ফজলুকে আটক করে। তার গ্রামের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার শেরপুরে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। তার মাথায় এবং বাম হাত ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে এই যুবক। জাফর ইকবালকে গুরুতর আহতাবস্থায় বিমান বাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হয়।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস
Advertisement