কওমি মাদরাসার মেধাবীরা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই আল্লামা মাসঊদের নেতৃত্বে সবাইকে একটি প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যাতে স্বীকৃতি দেয়াটা সম্ভব এবং সহজ হয়। শনিবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও জামিআ ইকরা বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় বেফাক আয়োজিত দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
Advertisement
তাবলীগের মতবিরোধ নিয়ে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টঙ্গীতে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হন। সেখানে বিরোধ তৈরি করা হলো। কারা এসব করছে? আমরা দিনের পর দিন মিটিং করে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছি। তাবলীগ জামাতকে বাংলাদেশের গর্বের বিষয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাবলীগ জামাতের কাফেলা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের দেশে আসছে। সবকিছুর উদাহরণ আজ হয়ে গেছে বাংলাদেশ।
আল্লামা মাসঊদের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানুষ গড়ার সেই কাজটি আল্লামা মাসঊদ করছেন। যে মেধাবীদের আজকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে তারাই আমাদের দেশের নেতৃত্ব দেবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাবলীগ জামাত ও আলেম উলামাদের সঠিক পথে থেকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের একপথে চলতে হবে। একমতে চলতে হবে। তাহলেই যে ইসলাম আমরা ধারণ করি সে ইসলামকে আমরা জয়ী করতে পারব। ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে বিশ্বে বিবেচিত করতে পারব। সংখ্যালঘু বোর্ডগুলোকে আইনগতভাবে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে সভাপতির আলোচনায় জাতীয় বেফাকের সভাপতি আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, বেফাকুল মাদারিস ছাড়া বাকি পাঁচ বোর্ডের সঙ্গে সংখ্যালঘুর আচরণ করা হচ্ছে। আমাদের এই পাঁচ বোর্ডকে আইনত শক্তিশালী করা উচিত।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমাদের এখানে মেধার চাষ হচ্ছে। হায়াতুল উলইয়্যার কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সর্বপ্রথম স্থান অধিকার করেছে আমাদের বোর্ডের শিক্ষার্থী। আমরা পুরস্কার হিসেবে হজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মেধাবীদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান তিনি। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার সচিব মো. আলমগীর বলেন, কওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি এখনও একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাওলানা হুসাইনুল বান্নার উপস্থাপনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন, ড. আওলাদ হোসেন, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি এনামুল হক, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা শামসুল হুদা খান, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি আবদুল কাইয়ুম খান, মাওলানা হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
Advertisement
এমএইচএম/ওআর/জেআইএম