জয়ের জন্য শেষ ওভারে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। তবে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে সেঞ্চুরির দেখা পেলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ক্রিস ওকসের করা ওভারে নিলেন ১০ রান। ফলে বৃথাই গেল কিউই অধিনায়কের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। আর ৪ রানের জয় দিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারী ইংল্যান্ড।
Advertisement
ওয়েলিংটনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ২৫ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রয়। আরেক ওপেনার বেয়ারস্টোও ফেরেন মাত্র ১৯ রান করে। দলীয় ৬৮ রানে রুট (২০) বিদায় নিলে চাপে পরে সফরকারী দলটি।
চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মরগান ও স্টোকস। দুইজনে মিলে গড়েন ৭১ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৪৮ রান সাজঘরে ফিরে যান মরগান। অধিনায়কের বিদায়ের পর বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি স্টোকসও। ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে বাটলার ২৯ আর মঈন আলী ২৩ রান করলে ২৩৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় সফরকারী দলটি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন গাপটিল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মানরোকে সঙ্গে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ৭৮ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন মানরো।
Advertisement
এরপরই ছন্দপতন ঘটে কিউই শিবিরে। ২৩ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন আরও চার ব্যাটসম্যান। সপ্তম উইকেটে স্ট্যান্তনারকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। উইলিয়ামসন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। স্ট্যান্তনার ৪১ রানে বিদায়ের পর উইলিয়ামসনের সামনে সুযোগ ছিল জয়ের নায়ক হয়ে মাঠ ছাড়ার। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে ১০ রান নিলে ৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক শিবির। শেষ পর্যন্ত ১১২ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামসন। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
এমআর/জেআইএম