ইতালি জুড়ে এখন বইছে ভোটের হাওয়া। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যেই আগামী ৪ মার্চ (রোববার) দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চার বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভার দ্য বার্লুসকোনির পর মারিও মন্তি, এনরিকো লেত্তা, মাত্তেও রেন্সি এবং সর্বশেষ পাওলো জেনতিলিনিনিসহ ৪ বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে দেশটিতে। তবে তাদের একজনও নির্বাচিত ছিলেন না। স্বাধীনতার ৭৩ বছরে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি এর আগে কখনও ইতালি।
Advertisement
ইতোমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন দলের প্রতীক বন্টনও শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ৯৮টি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে জনগণের মধ্যে ততই ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে। ইলেক্ট্রোরাল পদ্ধতিতে এবার এক সঙ্গে দুটি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটি জাতীয় এবং অন্যটি আঞ্চলিক নির্বাচন।
স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা যায় রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ভোটাররা নিজ নিজ এলাকায় পছন্দের প্রার্থীকে দুটি করে ভোট দিতে পারবেন।
এ নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইতালিয়ান নাগরিক ও ভেনিস-বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ কামরুল সারোয়ার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের জন্য একটি ভাগ্য পরীক্ষা। কারণ ডানপন্থী দলগুলো কখনই অভিবাসীদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে না। যতটুকু পারে তাড়ানোর চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে ডানপন্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেলু'সকনি ঘোষনা দিয়েছেন তার দল ফরজা ইতালিয়া ক্ষমতায় আসলে ৬ লাখ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে এবং যে সমস্থ মহিলারা বেকার, গৃহিনী তাদের এক হাজার ইউরো দিয়ে সহযোগিতা করবেন। তাই তিনি বামপন্থী দলগুলোকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ বামপন্থি দলগুলো অভিবাসীদের জন্য সুখে দুঃখে কাজ করে।
Advertisement
ইতালির পার্লামেন্ট উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ এই দুই ভাগে বিভক্ত। নিম্ন কক্ষের আসন সংখ্যা ৬৩০ এবং উচ্চ কক্ষ ৩১৫। যাদের বয়স আঠারো ঊর্ধ্বে তারা জাতীয় নির্বাচনে শুধুমাত্র নিম্ন কক্ষের জন্য ভোট দিতে পারবেন। আর ২৫ ঊর্ধ্বরা উচ্চ কক্ষের জন্য ভোট দিতে পারবেন। উভয় মিলে মোট আসন সংখ্যা ৯৪৫।
এমএমজেড/এমএস