খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি ফরমেট টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষতি করছে : ওয়ালশ

কলকাতার ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের উদ্যোগে আয়োজিত পতৌদি স্মারক বক্তৃতায় এবারের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কোর্টনি ওয়ালশ। সেই স্মারক বক্তৃতার আগে টেলিগ্রাফের সাংবাদিকের সঙ্গে একান্তে কিছু কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ, যেখানে উঠে এসেছে তার পছন্দ-অপছন্দসহ টাইগার দলের সঙ্গে কাজ করার অনুভূতিও।

Advertisement

সেই সাক্ষাতকারের কিয়দাংশ...

প্রশ্ন : অনেকেই আপনাকে রোল মডেল হিসেবে দেখে। আপনার অনুপ্রেরণা কে?ওয়ালশ : আগের যুগের গ্রেটরা সবাই...(স্যার) ওয়েসলি হল, চার্লি গ্রিফিথ...আমার আইডল। এমনকি জ্যামাইকান সতীর্থ মাইকেল হোল্ডিংও।

প্রশ্ন : বারো বছর আগে কিংস্টনে জানতে চেয়েছিলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড কেন আগামী প্রজন্মের পেসারদের জন্য আপনার সাহায্য নিচ্ছে না। সেই প্রশ্নটা আরেকবার...ওয়ালশ : কেন আসলে আমি বলতে পারব না, আশা তো সবসময়ই করি! আমি কিন্তু ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত নির্বাচক ছিলাম, বাংলাদেশের বোলিং কোচ হওয়ার আগে।

Advertisement

প্রশ্ন : খেলোয়াড়দের কি জাতীয় দলে খেলার ব্যাপারে বাধ্যবোধকতা থাকা উচিত নয়? ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেটা নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যায় আছে...ওয়ালশ : এটা আসলে সঠিক ভারসাম্যের ব্যাপার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের কিন্তু ভালো একটা রোজগারও দরকার। তাই তারা টি-টোয়েন্টি লিগের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। নিজের দেশের হয়ে খেলার সঙ্গে ভালো রোজগারের একটা ভারসাম্য রাখা উচিত। তবে হ্যাঁ, আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি ফরমেট টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষতি করছে।

প্রশ্ন : এখন আপনি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কোচ। শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে শক্তিধর ভারত নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছাড়া খেলবে। এটা কি বাংলাদেশের জন্য বাড়তি স্বস্তি? ওয়ালশ : আমাদের আলাদা খেলোয়াড়ের দিকে তাকালে হবে না। তার চেয়ে বরং দলের দিকে তাকাতে হবে। কেননা আমরা কেবল একজন বা দুজনের বিপক্ষে খেলছি না।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে ভাষা কি কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে? ওয়ালশ : না। যদি কারও কোনো সমস্যা হয়ও, বুঝিয়ে দেয়ার মতো লোক আছে।

প্রশ্ন : ঢাকায় থাকছেন। সেখানে কি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়েছেন? ওয়ালশ : আমি হোটেলে থাকি।

Advertisement

প্রশ্ন : এবার ক্রিকেটের বাইরে যাই। আপনার বন্ধু উসাইন বোল্টের কি অবসর ভেঙে ফেরার সম্ভাবনা আছে?ওয়ালশ : এটা বোল্টই ভালো বলতে পারবে।

প্রশ্ন : সবশেষ কবে বোল্টের সঙ্গে কথা হয়েছে? তিনিও তো আপনার মতো জ্যামাইকান।ওয়ালশ : কদিন আগেই। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে।

প্রশ্ন : ওল্ড ট্রাফোর্ডে চ্যারিটি ফুটবল ম্যাচে খেলবেন বোল্ট। তিনি কি এটা আপনাকে জানিয়েছেন?ওয়ালশ : আমি এটা সকালে খবরে পড়েছি।

প্রশ্ন : ২০০১ সালে অবসরের পর আপনার কি ফেরার কোনো ভাবনা ছিল? ওয়ালশ : কখনো না। আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু একজন খেলোয়াড়ই জানে, কবে তাকে শেষ বলতে হবে। এটা তার ভেতরের মনই বলে দেয়।

প্রশ্ন : সর্বশেষ প্রশ্ন- আপনি কি ভোজনরসিক? ওয়ালশ : (হেসে) না আসলে। আমি বিভিন্নরকম রান্না পছন্দ করি। যেমন... গত রাতের কথাই বলি, আমি হোটেলে থাই ফুড খেয়েছি। আমার কাছে বিভিন্ন অপশন ছিল। অথচ আমি এটাই নিয়েছি।

এমএমআর/পিআর