বাংলা এমন ভাষা যে ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিতে হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা।
Advertisement
বর্তমানে বিশ্বের ৩০ কোটির অধিক মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। তাই বাংলাকে জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কারণ এটা আমাদের প্রাপ্য।
বুধবার বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের ৭ম দাপ্তরিক ভাষা করার দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ভোটিং ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগিতায় ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম-এর আয়োজনে দেশব্যাপী চলছে ‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম।
Advertisement
এরই অংশ হিসেবে শাবিতে দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। অনলাইন ভোটিং ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের আগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন- কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন আহমেদ, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরকার সোহেল রানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও শাহপরাণ হলের সহকারী প্রভোস্ট আশিষ কুমার বণিক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাস আলী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ, দপ্তর সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম, ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ইলিয়াছ, বিএনসিসির ক্যাডেট আন্ডার অফিসার নাসির উদ্দিন, যুগান্তরের সাংবাদিক মেহেদী কবির ও মানবজমিনের সাংবাদিক আরাফ আহমেদ প্রমুখ।
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসের এক সম্মেলনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। কিন্তু এত বছরেও বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে মর্যাদা পায়নি। তাই বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা দাবিতে জাগো নিউজের ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এটা আমাদের দাবি নয়, বরং প্রাপ্য। আমাদের প্রাপ্য আদায়ের লক্ষ্যে অনলাইনে ভোটিং কার্যক্রমে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আলোচনাসভা শেষে অনলাইনে ভোটিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ ভোটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
Advertisement
আবেদন করতে ভিজিট করুন : www.jagonews24.com/makebanglaofficial
আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এএম/আরআইপি