হজে প্রতারণা, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য ১৫৩টি এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। গত বছর এ অনিয়ম করার কারণে এসব হজ এজেন্সির মধ্যে কোনোটির লাইসেন্স বাতিল, লাইসেন্স স্থগিত বা জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোনোটিকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। সর্বনিম্ন জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
Advertisement
বুধবার হজ এজেন্সিগুলোকে শাস্তি দিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তিনটি আদেশ জারি করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের হজ মৌসুমে বিভিন্ন হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় তিনটি কমিটি গঠন করে। গঠিত তদন্ত কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট সব হজ এজেন্সির বক্তব্য/লিখিত বক্তব্য/জবানবন্দি গ্রহণ, আনা অভিযোগ ও অভিযোগকারীর বক্তব্য/লিখিত বক্তব্য এবং সৌদি আরবে গঠিত তদন্ত টিমের দেয়া তদন্ত রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
তদন্ত কমিটিগুলোর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে এ শাস্তি দিয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
জরিমানার অর্থ আগামী ৭ মার্চের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে চালানের মূল কপিসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানাতে সাজাপ্রাপ্ত হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১৬ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের হজে না নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল ও আল সাফা ট্রাভেলের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল ও উভয় এজেন্সিকে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এটাই এবার সর্বোচ্চ জরিমানা। আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগকারীদের পাওনা পরিশোধ এবং পরিশোধ না করলে অভিযোগকারীদের ফৌজদারি মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর আগে তদন্ত কমিটিগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও ছোট ছোট অপরাধ করা এজেন্সিগুলোতে সতর্ক করে আদেশ জারি করা হয়েছিল।
শাস্তি পাওয়া এজেন্সিগুলোর বিস্তারিত তালিকা- এক, দুই, তিন।
Advertisement
আরএমএম/জেডএ/জেআইএম