দেশজুড়ে

‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ জাতিসংঘ আমাদের এ দাবি অবশ্যই মেনে নেবে

শুধু বাংলাদেশেই নয়, জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা বাংলা করার দাবিতে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের সোচ্চার হতে হবে। অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান আব্দুল হাই আল হাদি এসব কথা বলেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বহু আগেই স্পেনিস ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা হয়েছে। বর্তমানে স্পেনিস ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা ২৭ কোটি। অন্যদিকে, বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাসকারী ৩২ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলছে। এছাড়াও আফ্রিকা মহাদেশের সিয়েরালিওনের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাঙালিরা বুকের রক্ত ঝরিয়েছে, এ ভাষার রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা। আর বাংলা ভাষার এসব যুক্তিক কারণ বিবেচনা করে জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪ডটকমের আয়োজনে বুধবার বেলা ১১টায় শহরের তমালতলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামালপুর জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএ জলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রাসেল সাবরিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিম, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সহযোগী অধ্যাপক স্বরূপ কাহালী, গান্ধি আশ্রম ও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরের পরিচালক উৎপল কান্তিধর, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, সিনিয়র সাংবাদিক শফিক জামান, ভাষা সৈনিক মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক একে এম আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি জাকিউল ইসলাম খান টিপু, সাংবাদিক এম. সুলতান আলম, ফজলে এলাহী মাকাম, কাউছার আহমেদ প্রমুখ।

Advertisement

জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাসেল সাবরিন বলেন, জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলাকে স্বীকৃতির লক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা আশা করছি জাতিসংঘ আমাদের এ যোক্তিক দাবি অবশ্যই মেনে নেবে।

জামালপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিম বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমও বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবিতে একাত্ব হয়ে কাজ করছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত এবং এখানে এসে অনলাইনে ভোট দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। এ সময় তিনি এই অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।

এর আগে অতিথিরা ভোট দিয়ে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমে সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি কর্মীরা অংশ নেয়। এছাড়াও আগামী ৬ ও ৭ মার্চ দু’দিনব্যাপী তথ্য মেলায় জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা বাংলাকে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাগোনিউজ২৪.কমের জামালপুর প্রতিনিধি শুভ্র মেহেদী।

শুভ্র মেহেদী/এমএএস/জেআইএম

Advertisement