ধারণা নির্ভর হয়ে কোনো কথা বলা বা কাজ করা কল্যাণকর নয়। কেননা কোনো বিষয়ে মানুষের প্রতি কুধারণা করা জঘন্য মিথ্যাচারের অন্তর্ভুক্ত। এ কারণেই কুধারণা পরিহার করে সুধারণা করা উচিত।
Advertisement
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘উত্তম ইবাদাত হচ্ছে মানুষের প্রতি ভালো ধারণা রাখা।’
আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণে কুরআনে পাকে ইরশাদ করেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক ধারণা থেকে দূরে থাক। কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ। আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় তালাশ করা থেকে বিরত থাক। আর একজন অন্যজনের গিবত থেকেও বিরত থাক।’ (সুরা আল-হুজরাত : আয়াত ১২)
মানুষের প্রতি খারাপ ধারণার কুফল বর্ণনা করে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক নসিহত পেশ করেছেন। তার মধ্যে একটি হলো এমন-
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা (কারো প্রতি খারাপ) ধারণা করা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ ধারণাভিত্তিক কথা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। তোমরা একে অপরের দোষ তালাশ করো না আর তোমরা পরস্পর পরস্পরের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষও পোষণ করো না এবং পরস্পর শত্রুতা ও দুশমনি পোষণ করো না। বরং হে আল্লাহর বান্দারা! (তোমরা পরস্পর) ভাই ভাই হয়ে থাক। যেভাবে তোমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ‘ (বুখারি)
উল্লেখিত কুরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, মানুষের জন্য সুধারণা পোষণ করা সাওয়াবে কাজ। আর কুধারণা ধ্বংসের কারণ। তাই কারো প্রতি কুধারণা না করে সুধারণা করা উচিত।
কেননা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশে পরস্পরের প্রতি সুধারণা পোষণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি অপরের চরিত্র হননের মতো ঘৃনিত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখাও জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তি-পরিবার ও সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুধারণার পরিবর্তে সব সময় সুধারণা পোষণ করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর সুন্দর নসিহতে সমাজ সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম