আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের উপকরণ উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এমন উপকরণ সিরিয়ায় সরবরাহ করছে বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। খবর বিবিসি।

Advertisement

রাসায়নিক অস্ত্রে ব্যবহৃত উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে, এসিড প্রতিরোধী টাইলস, ভালভ ও থার্মোমিটার। টাইলসগুলো রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সিরিয়ার অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে।

সম্প্রতি সিরিয়ার ঘৌটায় বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সিরিয়া।

সিরিয়ার বিরোধীদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে, হামলার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বেশ কয়েকজনকে পাশ্ববর্তী আল-শিফোনিয়ায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের শ্বাসনালীতে যন্ত্রণা, প্রদাহ, চোখ জালা-পোড়া ও মাথা ঘোরার লক্ষণ পাওয়া গেছে।

Advertisement

হোয়াইট হেলমেট বলছে, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টে ভুগছেন। বিদ্রোহীদের হাত থেকে পূর্ব ঘৌটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী একাধিক ফ্রন্ট থেকে হামলা চালিয়ে আসছে। গত এক সপ্তাহে পূর্ব ঘৌটায় সরকারি বাহিনীর হামলায় নারী শিশুসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও বার বার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক খবরে জানানো হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে একটি চীনা ট্রেডিং ফার্মের মাধ্যমে পণ্যের পাঁচটি চালান সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এগুলো কয়েক বছর ধরে পাঠানো বহু চালানের একটি অংশ।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে আরও জানানো হয়েছে সিরিয়ার সরকারি সংস্থা দ্য সায়েন্টিফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এসএসআরসি) বেশ কয়েকটি ফ্রন্ট কোম্পানির মাধ্যমে এসব চালানের মূল্য পরিশোধ করেছে।

Advertisement

টিটিএন/পিআর