চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করতে আসা আন্দোলনকারী অর্ধশতাধিক ছাত্রকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
Advertisement
চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠনের একাধিক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সংগঠনটির সভাপতি ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রকে পুলিশভ্যানে করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এছাড়াও আটকদের মধ্যে হারুন-অর রশিদ, আনিস, সৈকত, আনন্দ, আলী, নিষাদ ও মোহনের নাম জানা গেছে।
শাহবাগ থানা পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে আটক নয়, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই থানায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে ওই সংগঠনটি দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করে আসছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করে তারা। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের অর্ধশতাধিক ছাত্রকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
Advertisement
ফারজানা ববি নামে দাবি আদায়ে অনশনে অংশ নেয়া এক চাকরিপ্রার্থী জাগো নিউজকে বলেন, কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই আমাদের প্রেসক্লাব ত্যাগ করতে বলা হয়। আমরা রাজি না হলে আমাদের অর্ধশতাধিককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যোগযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন, যানজট তৈরি ও মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টির কারণে ডিসি স্যার তাদের সরে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু তারা সরে যাননি। তাই তাদের থানায় আনা হয়েছে। আটক করে নয়, জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অনশন কর্মসূচি থেকে সংগঠনটি জানায়, দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭, যখন ৫০ ছাড়ালো তখন প্রবেশের বয়স ৩০ করা হয়। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ বছর হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স এখনও অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে জনবল (অভিজ্ঞতা ছাড়া) নিয়োগ দেয় না। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও কর্মের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, তাই চাকরির বয়সসীমা অবশ্যই ৩৫ বছর করা উচিত।
আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে যুবসমাজকে কাজে লাগাতে হবে। আর উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা প্রয়োজন। কারণ উন্নত বিশ্বকে আমরা অনুসরণ করে শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। তদ্রূপ চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করে দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারি।
Advertisement
জেইউ/বিএ