শিক্ষা

শিক্ষক ও অবকাঠামো অভাবে ঝরে পড়ছে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগের পরও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের একীভূত শিক্ষায় আনা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবকাঠামো ও প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযোগী শিক্ষকের অভাব লক্ষণীয়। ফলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কয়েক ক্লাস উঠার পরই ঝরে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর এনআইএলজি ভবনে সোসাইটি অব ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার (এসডিএলপি) আয়োজিত ‘একীভূত শিক্ষা: প্রতিবন্ধী শিশুর অধিকার’ শীর্ষক মতৎবিনিময় সভায় এ বিষয়গুলো উঠে আসে।

সভায় উপস্থিত অভিভাবকসহ বিশেষজ্ঞরা বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতি বইসহ শিক্ষকের ব্যবস্থা থাকলেও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপযোগী শিক্ষক নেই। ফলে এই স্তরের শিক্ষার্থীরা কিছুদিন স্কুলে গেলেও ক্লাসের পাঠ বুঝতে না পেরে পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

কিছু অভিভাবক অভিযোগ করেন, মূল ধারার স্কুলে প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভর্তি করাতে পারেনি। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্বন্বয় না হওয়ায় ভর্তি নেয়া হয় না। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুলে ভর্তি ফিসহ অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় সেখানে ভর্তি করানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা পড়ালেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে ঝড়ে পড়ছেন।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের দেশে যেসব ‘পলিসি’ রয়েছে তা খুবই চমৎকার এবং তা বিদেশেও সমাদৃত। কিন্তু বড় সমস্যা হচ্ছে তা বাস্তবায়নের জায়গাটি খুবই দুর্বল।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একীভূত শিক্ষা বিষয়ে সেসব সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে তা আমার অজানা নয়। আমাদের সমাজে অনেক ধরনের প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের কোষাধক্ষ্য রফিক জামান এক প্রতিবেদনে বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে সরকারি ও নতুন জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিবন্ধী শিশুর অন্তর্ভূক্তি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিগত ছয় বছর ধরে প্রতিবন্ধী শিশু ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকলেও এর কারণ অনুসন্ধানে উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম ওসমান খালেদের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল মালেক, ইউনিসেফের শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইকবাল হোসেন, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

Advertisement

এমএইচএম/এনএফ/জেআইএম