পাবনার চাটমোহরে জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু রাবেয়া-রুকাইয়ার অস্ত্রোপচারের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হাঙ্গেরি থেকে অাসা দু’জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের এ প্রাথমিক ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।
Advertisement
আজ (মঙ্গলবার) মূলত দুই শিশুর মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের বিষয়টি পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া। জোড়া মাথা আলাদা করার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে বছরখানেক সময় লাগবে।
জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু রাবেয়া-রুকাইয়ার অস্ত্রোপচারে জন্য ঢামেক হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠিত করা হয়েছে।
গঠিত মেডিকেল টিমের প্রধান ও ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অর্থাৎ এনজিওগ্রাম করে প্রাথমিকভাবে ব্রেইনের রক্তনালীর অবস্থান শনাক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অাগামীকাল (বুধবার) অারও কিছু পরীক্ষা করা হবে। এরপর বলা যাবে, শিশুদের কী অবস্থা। এখন কিছু বলাটা ‘লাইক দ্যাট টু অার্লি’ হবে।
Advertisement
২০১৬ সালের জুলাই মাসে পাবনা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম হয় শিশু রাবেয়া-রুকাইয়ার। জন্ম থেকেই তাদের মাথা জোড়া লাগানো। উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের অাটলংকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান রাবেয়া-রুকাইয়া।
চিকিৎসকরা জানান, এমন চিকিৎসায় বিশ্বে ২০ শতাংশেরও কম সফল হয়েছে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার এটি। বিশ্বে এমন প্রায় ৮০ শতাংশ চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এ চিকিৎসা যদি সফল হলে চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশ নতুন এক সাফল্য অর্জন করবে বলে মনে করছেন তারা।
আরএস/জেআইএম
Advertisement