দেশজুড়ে

রাঙামাটিতে নেমেছে পর্যটকের ঢল

ঈদ উপলক্ষে পর্যটন নগরী রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ঢল এখনো রয়ে গেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনীয় স্পট ও স্থাপনাগুলোতে। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পার্বত্য জনপদ রাঙামাটি। সরকারি পর্যটন মোটেলসহ শহরের আবাসিক হোটেলগুলোও এখন পর্যটকে ঠাসা। চলতি সপ্তাহ জুড়ে বুকিং থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।রাঙামাটি সরকারি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জাগো নিউজকে জানান, ১৯-২৪ জুলাই মোটেলের সবগুলো কক্ষ বুকিং রয়েছে। এ বছর বর্ষাতেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন রাঙ্গামাটিতে। ঘুরছেন সতেজ প্রকৃতি অবলোকনের জন্য। এখন পানিতে ভরপুর কাপ্তাই লেক। পর্যটকরা সরাসরি মোটেল থেকে নৌযান নিয়ে কাপ্তাই লেকে নৌ-ভ্রমণ করছেন। অবলোকন করছেন সুবলং ঝরণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ও স্থাপনা। গোটা শহরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছে প্রশাসন।উল্লেখ্য, প্রতি বছর ঈদ অবকাশে মনোরম ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো পার্ক, পলওয়েল বিনোদন পার্ক, সুবলং ঝরণা, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মুন্সী আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধ, চাকমা রাজার বাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘরসহ নৈসর্গিক আবেশ অবলোকনে অগণিত পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমী পাড়ি জমান পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটি। বেড়াতে এসে উপভোগ করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি কাপ্তাই লেকে রোমাঞ্চকর নৌভ্রমণ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো চলতি মৌসুমে টানা বর্ষণ ও বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে ঈদ অবকাশ কাটাতে এ পর্যটন নগরীতে ভিড় জমেছে অগণিত পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীর।আলোক বিকাশ চাকমা আরো বলেন, প্রতি বছর ঈদ উৎসব ঘিরে গোটা কমপ্লেক্স উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এবার ঈদেও প্রচুর পর্যটক দলে দলে আপনজন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে উঠেছেন রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে। তিনি জানান, মোটেলে ভাড়া ডাবল (এসি) ৩ হাজার টাকা, নন এসি (ডাবল) ১৮০০ টাকা, সেমি ডাবল (এসি) ১৬০০ টাকা। কনফারেন্স রুম দৈনিক দশ হাজার টাকা। এছাড়া কটেজ (এসি) ৬ হাজার টাকা এবং নন এসি ৩ হাজার ২শ টাকা। সুশীল চাকমা/এমজেড/পিআর

Advertisement