বিনোদন

শ্রীদেবীর মৃত্যুতে রহস্য, আইনি জটিলতায় আটকে আছে মরদেহ

বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টার শ্রীদেবী আর নেই। গেল রোববার সকালে মন খারাপের এই খবরে শোকে স্তব্দ হয়েছেন বলিউডপ্রেমীরা। শ্রীদেবীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছিলো, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে দুবাইতে মৃত্যু হয়েছে এই নায়িকার। কিন্তু গতকাল সোমবার দুবাইয়ে ফরেন্সিক রিপোর্টে জানা যায়, হার্ট অ্যাটাক নয়; বাথটাবের পানিতে ডুবে শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছেন শ্রীদেবী

Advertisement

নতুন কারণ বের হয়ে আসায় শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য, এসেছে নতুন বাঁক। প্রশ্ন উঠছে কেমন করে শ্রীদেবী বাথটাবের পানিতে পড়ে গেলেন? তিনি নিজেই পড়ে গেলেন নাকি কেউ ফেলে দিয়েছিলো এই সুপারস্টারকে? আবার এখনও এই মৃত্যুর পেছনে কোনও ‘ক্রিমিনাল মোটিভ’ বা অপরাধমূলক উদ্দেশ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শ্রীদেবী কী সুইসাইড করেছেন? তার নমুনাও এখনো পায়নি পুলিশ।

ডাক্তারি রিপোর্টে বলা হচ্ছে শ্রীদেবীর শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নেশাগ্রস্ত শ্রীদেবী নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই বাথটাবে পড়ে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। এদিকে শ্রীদেবীর কাছের মানুষরা বলছেন তিনি মদ পান করতেন না। মাঝেমধ্যে ওয়াইন খেতেন। সেটাও পরিমিত। তবে হঠাৎ করে এমন ‘বেতাল’ হলেন কী করে যে বাথটাবের পানিতে পড়ে গিয়ে সেখান থেকে উঠে দাঁড়াতে পারলেন না। আরও নানা প্রশ্ন নিয়ে এই মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে দুবাই পুলিশ।

স্বাভাবিকভাবেই আইনি জটিলতায় আটকে আছে শ্রীদেবীর মরদেহ। কবে কখন সেইসব কাটিয়ে নিজের দেশ ভারতে ফিরবে শ্রীদেবীর মরদেহ তা এখন অনিশ্চিত। এদিকে মুম্বাইয়ে অবস্থিত শ্রীদেবীর বাসভবনে উৎসাহী ভক্ত ও দর্শকদের ভিড় বাড়ছেই। শ্রীদেবীর কন্যাদ্বয়কে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসছেন তারকরাও।

Advertisement

মধ্যপ্র্যাচ্যের দুই সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এবং খালিজ টাইমস সূত্রে জানা গেছে, শ্রীদেবীর মরদেহ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আমিরাতের ভারতীয় দূতাবাসের টুইটার একাউন্ট থেকেও তার মরদেহ ফেরার দিনক্ষণ নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বলা হয়েছে, এ ধরনের কাজে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দুই/তিন লেগে যেতে পারে। এরইমধ্যে শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্তভার পাবলিক প্রসিকিউটরের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে আমিরাতের একজন মুখ্য প্রসিকিউটর গালফ নিউজকে জানিয়েছেন, আমিরাতের স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এমন দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ফরেনসিক ও পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাবলিক প্রসিকিউটরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রসিকিউটর সেই রিপোর্টগুলো খতিয়ে দেখার পর মরদেহ হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়। তবে কোনো ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সঙ্গে অপরাধের আলামত মিললে তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত কাজ শুরু হয়।

এদিকে আমিরাতের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নয়দ্বীপ সিং ২৬ তারিখে জানিয়েছিলেন, শ্রীদেবীর মরদেহ ফেরানোর ব্যাপারে আমিরাত-কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিলেছে। তবে দিনশেষে এক টুইটার বার্তায় তিনি জানান, শ্রীদেবীর মৃত্যুতে রহস্য খুঁজে পাওয়ায় তদন্তে নেমেছ পুলিশ। এ ধরনের ঘটনায় ২/৩দিন সময় লেগে যায়। তবে সবটাই অনিশ্চিত।

এলএ/পিআর

Advertisement