রাতের ডিনার খেতে বসবেন। স্বামী বনিকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে ফ্রেস হওয়ার জন্য বাথরুমে ফ্রেস হতে ঢুকেছিলেন শ্রীদেবী। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি বেরোচ্ছেন না দেখে কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দেয় বনি। কোনো সাড়া না পেয়ে অবশেষে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। অচৈতন্য শ্রীদেবী তখন শুয়ে জলভর্তি বাথটবে। এর পর বনি নানা ভাবে স্ত্রীর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় এক বন্ধুকে ফোন করেন বনি।
Advertisement
তার পর ডাকা হয় পুলিশ। কিন্তু, কোনও কিছুতেই শ্রীদেবী আর সাড়া দেননি। এমন খবরই প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত সপ্তাহে দুবাইতে ছিল কপূর পরিবার। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, মৃত্যুর আগে দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের হোটেল রুমে একাই ছিলেন শ্রীদেবী। বিয়ে মিটে যাওয়ার পর বনি কাপূর ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে মুম্বাই ফিরে এসেছিলেন। থেকে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু, শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে ফের দুবাই উড়ে যান বনি।শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারে পৌঁছে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তার পর মিনিট ১৫ দু’জনে চুটিয়ে আড্ডাও দেন।
এর পরেই স্ত্রীকে ডিনারের প্রস্তাব দেন বনি। সেই মতো শ্রীদেবী ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢোকেন। কিন্তু, অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রী বেরোচ্ছেন না দেখে বনি বহু বার দরজা ধাক্কাধাক্কির পর তা ভেঙে অচৈতন্য স্ত্রীকে তুলে আনেন জলভর্তি বাথটব থেকে। তার পর এক বন্ধুকে ফোন করে ডাকেন। পরে স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ পুলিশকে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। এর পর অভিনেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রশিদ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, অনেকটা আগেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।
Advertisement
সোমবার সকালে জানা গেছে, শ্রীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ফরেন্সিক বিভাগের করা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। সেই সমস্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তার দেহ মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। কারণ, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা যাবে না।
এমএবি/এলএ/জেআইএম