সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁস আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে- এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। আগে হয়েছে, এটা কী কোনো যুক্তি হলো? আগে মানুষ অন্যায় করেছে, চুরি করেছে বলে এখন কি আমরাও তা করবো? রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রশ্নপত্র আগেও ফাঁস হয়েছে। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীও একাধিকবার এ কথা বলেছেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমাদের সাহায্য নেন। সবাইকে ডাকেন। কেন প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা যাবে না। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে আর কোনো দিন এটা শুনতে চাই না।
Advertisement
আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, শেখ হাসিনার এতো অর্জনকে দু-একটি অপকর্ম দিয়ে ম্লান করে দেবেন, এটা হতে পারে না। যারা পারেন না -হি মাস্ট রিজাইন। আওয়ামী লীগে লোকের অভাব নেই। আপনাদের দু’একজনের ব্যর্থতার দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। শেখ হাসিনা নেবে না। আমরা নেবো না।
তিনি বলেন, আমরা মেধাবী প্রজন্ম গড়তে চাই। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম মেধাবী হবে, সৎ হবে এটা আমরা চাই। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত। আমরা এগিয়ে যাবোই। বাংলাদেশকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তারুণ্যকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারি সকলে বসে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জেল প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খসরু বলেন, আজকে বাংলাদেশে দুর্নীতি করে অহঙ্কার করা হয়। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতির প্রমাণ হয়েছে। এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। লজ্জা হয় না! আবার বড় বড় কথা বলে। এখানে শেখ হাসিনার কোনো হাত নেই। কোর্ট তাকে শাস্তি দিয়েছে। এতে তারা চিৎকার করছে। আদালত স্বাধীন। সেখানে তো আমাদের কোনো হাত নেই।
Advertisement
আলোচনায় আরও অংশ নেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, হুইপ মো. শাহাব উদ্দীন, শেখ কফিল উদ্দিন, মো. মনিরুল ইসলমা ও নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
এইচএস/এআরএস/জেআইএম