জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ইতিহাসে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেনি।
Advertisement
রোববার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির পর নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি ইতিহাসে এর আগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে এতিমদের টাকা এভাবে কেউ আত্মসাৎ করেনি। সবচেয়ে বড় কথা এ চেক দিয়ে উনার ছেলে তারেক রহমান, উনার বোনের ছেলে মমিনুর রহমান ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একই বাড়িতে থেকে যখন পুত্র ব্যাংকের টাকা উত্তোলন করেন তখন তার দায়-দায়িত্ব কীভাবে মা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এড়াতে পারেন? যেখানে এ অ্যাকাউন্টি খোলা হয়েছিল তার নির্দেশে, অ্যাকাউন্টের নামই ছিল প্রাইম মিনিস্টার অরফানেজ ফান্ড।
Advertisement
মামলার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলার বিষয়ে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ নম্বর সাক্ষী এবং মেটেরিয়াল এক্সিবিট-থ্রি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, খালেদা জিয়া এ বিষয়ে জানতেন। তিনি সামারিতে সই করেছেন, এবং তার নির্দেশ মতোই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সুতরাং তার ব্যাপারে বিচার্য বিষয় হল তিনি এসব জানতেন কি-না, এটা তার হুকুমে হয়েছিল কি-না।
আদালতের শুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আদালতে বলেছি এ মামলাটি নিম্ন আদালতে ঝুলিয়ে রাখার যে প্রক্রিয়া, যে চেষ্টা করা হয়েছে সেটা থেকে অব্যহতি পাওয়া গেছে। এ মামলাটা নিম্ন আদালতের মতো এ আদালতেও দেরি করা হোক আমি তা চাই না। নিম্ন আদালতের নথিটা আসুক, সুপ্রিম কোর্টে অনেক মেশিন আছে অতি অল্প সময়ে পেপারবুক তৈরি করা হবে এবং পেপারবুক শুনানির পর মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে। আমি চাচ্ছি এ মামলাটি যাতে ঝুলে না থাকে মামলাটি যাতে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
নথি আসার পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিম্ন আদালতের যে নথি আসবে সেই নথি দেখে আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
এফএইচ/এআর/এমবিআর/আরআইপি
Advertisement