বিনোদন

মাকসুদের নিষিদ্ধ হওয়া সেই গানে ছিলেন শ্রীদেবীও

১৯৯৭ সাল। বাংলা গানের আঙিনায় আনুষ্ঠানিকভাবে পা রাখে জনপ্রিয় গানের দল ‘ফিডব্যাক’। প্রকাশ হয় অ্যালবাম ‘অ-প্রাপ্ত বয়স্কের নিষিদ্ধ’। এই অ্যালবামে মাকসুদের গাওয়া ‘গীতি ভাষণ (মৃত্যুদণ্ড)’ গানটি নিষিদ্ধ হয়েছিলো। গানটির কথা, সুর ও সংগীতও করেছিলেন তিনি।

Advertisement

তৎকালীন অস্থিতিশীল রাজনীতি, লাগামহীন দুর্নীতি আর ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে বারুদ হয়ে জ্বলেছিলো এই গান। তরুণ সমাজে দারুণ আলোড়ন তৈরি করেছিলো। নিষিদ্ধ হবার পর গানটি আরও বেশি করে জনপ্রিয়তা পায়। দীর্ঘদিন পর এই গানটি ফিরে এলো শোকের মিছিলে শ্লোগান নিয়ে।

গানটিতে ঠাঁই পেয়েছিলো তৎকালীন হিন্দি সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শ্রীদেবীর নাম। সেখানে তাকে নিয়ে লাইনগুলো ছিলো, ‘ক্ষমতা নামের শিল্প কারখানায় তৈরী হচ্ছে এক বিশাল ইন্দ্রজাল/ আর তুই তাতে শিক্ষিত মূর্খ বিনে পয়সায় কেনা টাটকা কাঁচামাল (হাহ হা)/ আর জানতে পারবো তোর মৃত্যুর খবর পত্রিকাতে পরদিন/ হরতাল, ছুট্টি, লাগাও ফুর্তি কেবল টিভিতে শ্রীদেবী নাচবে/ ধিনাক নাতিন তিন, ধিনাক নাতিন তিন, ধিনাক নাতিন তিন’।

বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টার শ্রীদেবী মারা গেছেন গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায়। তার হঠাৎ মৃত্যুর শোকে কেঁপেছে উপমহাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অন্তর। সেই শোকের ছায়া পড়েছে বাংলাদেশের শোবিজেও।

Advertisement

আজ রোববার সকালে শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবর শোনে আহত হয়েছেন ‘গীতি ভাষণ (মৃত্যুদণ্ড)’ গানের গীতিকবি ও গায়ক মাকসুদও। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন এই চিত্রনায়িকাকে উদ্দেশ্য করে। গানের একটি লাইন জুড়ে লিখেছেন, ‘১৯৯৬, একমাত্র চিত্র যগতের মানুষ যিনি আমার গানে স্থান পেয়েছিলেন। বিদায় শ্রীদেবী।’

এলএ/জেআইএম