অর্থনীতি

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জেল-জরিমানা, উচ্চ আদালতে খালাস

শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় শেয়ারবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জেল ও জরিমানার সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

Advertisement

খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- বাংলাদেশ ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের (বিডি ওয়েলডিং) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল ইসলাম ও ‘ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি’ পত্রিকার সম্পাদক এনায়েত করিম।

উচ্চ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া অভিযুক্তদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। যার অনুলিপি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজারবিষয়ক বিশেষ ট্রাইবুন্যালে পৌঁছেছে।

এ দু’জনের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির অভিযোগ এনে মামলা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিডি ওয়েলডিংয়ের শেয়ার কারসাজির অভিযোগ তদন্ত করে ২০০৭ সালের ২২ মে এ মামলা করা হয়।

Advertisement

বিএসইসির মামলার প্রেক্ষিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শেয়ারবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলামকে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করে। ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট ট্রাইবুন্যালের বিচারক হুমায়ুন কবীর ওই আদেশ দেন।

বিশেষ ট্রাইবুল্যালের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ওই বছরেই উচ্চ-আদালতে আপিল করে। উচ্চ-আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন-অ্যাডভোকেট এসএম রেজাউল করিম ও ইউসুফ হুসাইন হূমায়ুন। আর বিএসইসির পক্ষে ছিলেন শুভ্র চক্রবর্তী ও প্রবীর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিডি ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের শেয়ারের বাজার মূল্য ছয় টাকা ৯০ পয়সা থেকে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা হয়।

এ তিন মাসে শেয়ারটির দাম শতকরা হিসেবে বাড়ে ৬১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যার প্রেক্ষিতে ৬ মার্চ বিএসইসি শেয়ারটির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে।

Advertisement

গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন— ওই সময়ের পরিচালক বর্তমানে নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান এবং ওই সময়ের সহকারী পরিচালক তানিয়া শারমিন (বর্তমানে তিনি অন্যত্র কর্মরত)। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কমিটি।

এমএএস/এএইচ/আরআইপি