বিশ্বজুড়ে ফুটবল এবং ফুটবলারদের শেষ গন্তব্যস্থল তাদের অভিভাবক সংস্থা ফিফা। কোথাও কোনো ঝামেলা হলে, কোনো সমস্যা সমধান করা না গেলে শেষ পর্যন্ত ফিফার দ্বারস্থ হয় সবাই এবং সেখান থেকে একটা সমাধান বেরিয়ে আসেই। যদিও ফিফা সব সময়ই ফুটবলারদের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করে। একই সঙ্গে ক্লাবের যৌক্তিক স্বার্থও মূল্যায়িত হয় ফিফা।
Advertisement
কিন্তু বার্সেলোনার সঙ্গে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ডি সিলভা জুনিয়রের ঝগড়ার যে পরিস্থিতি তাতে নাক না গলানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। তারা এখানে নেইমার কিংবা বার্সা- কারো পক্ষেই না থাকার ঘোষণা দিয়েছে। ফিফা জানিয়েছে, এই কেস নিয়ে তাদের কিছুই করার নেই। এটা ক্লাব এবং খেলোয়াড়- এই দুই পক্ষের ব্যাপার।
সমস্যা বেধেছে মূলতঃ পারিশ্রমিক এবং সাইনিং বোনাস নিয়ে। বার্সা শুরুতে ৮ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে নেইমারের বিপক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করে। ২০১৬ সালে বার্সার সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি নবায়নের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয় নেইমারের। তখনই নেইমারকে ৮ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করা হয় সাইনিং বোনাস হিসেবে। এরপর আরও ২৩ মিলিয়ন ইউরো বোনাস হিসেবে বার্সার কাছে পাওনা ছিলেন নেইমার।
কিন্তু চলতি মৌসুমের শুরুতেই বার্সা ছেড়ে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। যে কারণে বার্সা দাবি করছে, নেইমার যেহেতু চুক্তিই ভঙ্গ করেছে, সেহেতু তাকে সাইনিং বোনাস হিসেবে নেয়া ৮ মিলিয়ন ইউরো ফেরত দিতে হবে। অন্যদিকে উল্টো নেইমারও দাবি করেন, সাইনিং বোনাস হিসেবে তার পাওনা বাকি ২৩ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে তাকে।
Advertisement
নেইমার এই দাবি নিয়ে ফিফার কাছে বার্সার বিপক্ষে অভিযোগ জানান এবং ২৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করেন। কিন্তু ফিফা বহু যাছাই-বাছাই করার পর দেখলো এখানে তাদের নিজেদের না জড়ানোই ভালো। বিষয়টা তারা খেলেয়োড় এবং ক্লাবের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, ফিফার বিচারকমন্ডলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই মতবিরোধ দীর্ঘদিনের। এখানে তারা কোনো তদন্ত কিংবা পরবর্তীতে মামলা এগিয়ে নেয়ার কোনো চেষ্টা আর করবে না।
আইএইচএস/আইআই
Advertisement