অর্থনীতি

সূচকের বড় পতন, লেনদেন অর্ধেকে

এক প্রকার অতঙ্কের মধ্য দিয়েই শেষ সপ্তাহ পার করেছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারটিতে লেনদেন কমে আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

শেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইএক্সের এমন পতন হলেও আগের সপ্তাহে এ সূচকটির উত্থান হয়েছিল। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৮৪ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৬০ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২৪ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় শেষ সপ্তাহে কমেছে ২৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১২ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।

Advertisement

শেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে মাত্র ৫৫টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির দাম।

মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি শেষ সপ্তাহে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ২৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গড় লেনদেনের পাশাপাশি মোট লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৮০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৪১ দশমিক ৯০ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, দশমিক ২৭ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ২ দশমিক ৭২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

Advertisement

এ দিকে গত সপ্তাহে মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ৪১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণ ফোন, ফু-ওয়াং ফুড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল।

এমএএস/এআরএস/পিআর