জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগেই সচিবালয়ে ড্রাফট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীরা প্রমাণ করে উপস্থাপন করতে পেরেছেন একটা ঘষামাজার মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো প্রকারেই সাজা দিতে পারে না। তাহলে এ সাজা কোথায় থেকে আসলো? আমরা শুনতে পেরেছি, রায়ের চারদিন আগে বিচারিক আদালতের কোনো একজন সচিবালয়ে গিয়েছিলেন। সেই মামলার ড্রাফট করেছিলেন কত বছর কাকে সাজা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জোর গলায় চিৎকার করে বলতে চাই, বেগম জিয়ার ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়ে আপনি অবৈধ সংসদে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা? এটা গণতন্ত্রের নমুনা নয়।’
বাংলাদেশকে আবারও বাকশালী কায়দায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পায়তারা করা হচ্ছে দাবি করে ফারুক বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ২ মিনিটে সংসদে আওয়ামী লীগ সরকার যে বাকশাল কায়েম করেছিল, বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে তারা আবারও সেই পরিকল্পনা করছেন।’
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন সেই বক্তব্যগুলো দয়া করে বন্ধ করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে দিন। দেশে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ সব রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেইউ/আরএস/পিআর
Advertisement