লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান মনে করেন, তরুণ লেখকদের মধ্যে অনেকেই ভালো বই লিখছেন। এ নিয়ে আশাবাদী হতেই হয়। আর বইমেলা সাহিত্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে নিঃসন্দেহে। হয়ত কোনো একদিন এভাবেই আমাদের সাহিত্য ইতিহাসে পূর্ণতা আসবে।
Advertisement
সাহিত্যমান এবং বইমেলার প্রসঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি জাগো নিউজ-এর কাছে মতামত ব্যক্ত করেন ড. আনিসুজ্জামান।
লেখক বলেন, বইমেলায় আর নিয়মিত যাওয়া হয় না। সব খবর রাখি, তাও নয়। তবে মাঝে মাঝে গিয়ে বা গণমাধ্যমে খবর পেয়ে যা বুঝতে পারি মেলার পরিধি বাড়ছে। মেলাতো তো এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যাপক বিস্তৃত।
তিনি বলেন, বইমেলার আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, শত শত নতুন বই আসছে মেলায়। যে কোনো সৃষ্টিই নতুনত্ব বহন করে। এটি আশার কথা। তবে একটি জাতির শিল্প-সাহিত্যের মান নির্ণয় করতে হলে তো কতগুলো বিষয়ের ওপর নজর দিতেই হবে।
Advertisement
চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞানের গভীরতা ঠিক কোথায় গিয়ে ঠেকছে, তাও ভাবনায় নিতে হবে এমন মত দিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা বই লিখছেন, তারা আসলে কতটুকু সাহিত্য চর্চা করছেন, তা বিবেচনা করার সময় এসেছে। শত বই না লিখে, সৃষ্টির জন্য একটি বই-ই লিখুন। প্রয়োজনে সময় নিয়ে বই লিখুন। ভাষা-সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে তো আমাদেরই দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটি সংস্কৃতি বিশ্বমানে দাঁড় করানো রাষ্ট্রের যেমন দায় আছে, তেমনি যারা সাহিত্য রচনা করছেন তাদেরও দায় আছে।
এই গবেষক বলেন, বইয়ের মান নিয়ে নানা কথাই বলা যেতে পারে। এরপরও ভালো বই যে প্রকাশ পাচ্ছে না, ঠিক তা নয়। অনেকেই ভালো বই লিখছেন। বইমেলা সাহিত্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে নিঃসন্দেহে। তরুণ লেখকদের অনেকেই ভালো বই লিখছেন। আমি আশাবাদী। হয়ত কোনো একদিন এভাবেই আমাদের সাহিত্য ইতিহাসে পূর্ণতা আসবে।
মান নির্ণয়ে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আনিসুজ্জামান বলেন, তবে বইমেলার আয়োজক এবং প্রকাশকদেরও এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভালো বইয়ের মান নির্ধারণে তদারকির ব্যবস্থাও থাকতে পারে। এতে লেখকরা উৎসাহিত হবেন। বেশি সংখ্যক বই প্রকাশের প্রতিযোগিতায় না নেমে ভালো বই প্রকাশে মন দিতে পারবে।
এএসএস/এআরএস/পিআর
Advertisement