প্রবাস

বার্সেলোনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

স্পেনের বার্সেলোনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন কোলতুরাল ই উমানিতারিয়া দ্য বাংলাদেশ এন কাতালোনিয়ার ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্লাসা মাকবায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

Advertisement

বার্সেলোনা ও তার পাশ্ববর্তী শহরের বাংলাদেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকসহ প্রায় ৩০টি সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রবাসের মাটিতে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।

২১ ফেব্রুয়ারির দিন বিকেল ৫টায় ভাষা দিবসের র‌্যালি শেষে এই প্রথম অংশগ্রহণ করা বার্সেলোনার মিউনিসিপল (আইউনতামিয়েনতো দ্য বার্সেলোনা)-এর প্রতিনিধিদের পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এ সময় কমিউনিটির বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বার্সেলোনার বাংলাদেশি কনস্যুলার রামন পেদ্রো। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অ্যাসোসিয়েশন কোলতুরাল ই উমানিতারিয়া দ্য বাংলাদেশ এন কাতালোনিয়া, স্পেন-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, কাতালোনিয়া আওয়ামী লীগ, কাতালোনিয়া বিএনপি, কাতালোনিয়া যুব লীগ, কাতালোনিয়া যুব দল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলা স্কুল কাতালোনিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল।

Advertisement

এছাড়া বাংলা স্কুল কাতালোনিয়া, সুনামগঞ্জ সমিতি, মহিলা সমিতি, বন্ধুসুলভ মহিলা সংগঠন, মাদারীপুর সমিতি, ঢাকা সমিতি, বড়লেখা সমিতি, ভয়েস অব বার্সেলোনা, কিং ক্রিকেট ক্লাব বার্সেলোনা, শান্তাকলমা আওয়ামী লীগ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন প্রবাস কথাসহ আরও বিভিন্ন সংগঠন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাহারুল ইসলাম মিন্টু বলেন, মহান একুশ উদযাপন হিসেবে প্রবাসে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চান। এখানে বড় হওয়া বাংলাদেশি প্রজন্ম যাতে শহীদ দিবসকে ভুলে না যায় এটা তারই প্রয়াস। বার্সেলোনা মিউনিসিপলের প্রতিনিধি লোলা লপেজকে বার্সেলোনায় একটি স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি প্রসঙ্গে তার প্রশাসন সহযোগিতা করবেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বার্সেলোনা একটি ছোট শহর, এখানে পুরু শহরের নকশা এমনভাবে করা যা কিছু সন্মিবেশিত করতে হলে অনেক ক্যালকুলেশন করতে হয়। ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্যোশে একটি স্মৃতি চিহ্নের সিল্ড (প্লাকা) তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এই প্রথম কাতালোনিয়া প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ২২ ফেব্রুয়ারি অফিসিয়ালি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার জন্য নির্ধারিত দিনটি বাছাই করা হয়েছে বাংলা ভাষা শহীদদের ইতিহাস থেকে, তাই তারা বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।

অনুষ্ঠানে কোমলমতি শিশুদের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Advertisement

এমআরএম/আইআই