চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬ হাজার ৭৩ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন লাখ ৫২ হাজার ২৯২ ক্রমিক পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিরা নিবন্ধন করতে পারবেন। আর যারা নিবন্ধন করবেন তারাই হজে যেতে পারবেন। বৃহস্পতিবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ১৬ হাজার ৭৩ ক্রমিক পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। অপর দিকে ২০১৮ সালে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে তিন লাখ ৫২ হাজার ২৯২ ক্রমিক পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
নির্ধারিত ক্রমিকের মধ্যে যারা নিবন্ধন করবেন না তাদের পরবর্তী কার্যক্রম জাতীয় হজ এবং ওমরাহ নীতির অনুচ্ছেদ ৩.১.৯ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
হজ-ওমরাহ নীতির ৩.১.৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের তালিকার মধ্যে যারা ঘোষিত সময়ে নিবন্ধনে ব্যর্থ হবেন তাদের প্রাক-নিবন্ধন পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
Advertisement
হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর নিবন্ধন শুরু হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদনের জন্য উঠছে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় নয় হাজার ২০৩ ক্রমিক পর্যন্ত ব্যক্তিরা হজে গেছেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৬৫ ক্রমিক পর্যন্ত ব্যক্তিরা নিবন্ধন করে হজে গেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার তথ্য অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করা সর্বশেষ ব্যক্তির ক্রমিক নম্বর ১৬ হাজার ৪২১ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ ক্রমিক চার লাখ ৭৬ হাজার ২৮০।
Advertisement
আরএমএম/জেডএ/আইআই