খেলাধুলা

বিজয়ের ব্যাটে আবাহনীর জয়

ঘরোয়া ক্রিকেটে সব সময়ই তার ব্যাট কথা বলে। বেরিয়ে আসে দারুণ সব ইনিংস। একের পর এক সেঞ্চুরি কিংবা বিশাল হাফ সেঞ্চুরি। সে সাফল্যের সূত্র ধরেই ত্রিদেশীয় সিরিজে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়; কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে নেমেই কেমন যেন ম্রিয়মাণ হয়ে যান তিনি। ফলে বাদ পড়তে হয় জাতীয় দল থেকে।

Advertisement

সেই এমানুল হক বিজয় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ফিরে এসে আবারও দুর্দান্ত ফর্মে। ৫ ম্যাচে করেছেন দুটি হাফ সেঞ্চুরি। অবশেষে সেঞ্চুরিও বেরিয়ে আসলো তার ব্যাট থেকে। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিরুদ্ধে ৫ম রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলেছেন ১১৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। তার এই ইনিংসের ওপর ভর করেই শেখ জামালকে ৪৭ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

আবাহনীর করা ৭ উইকেটে ২৭০ রানের জবাব দিতে নেমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব পড়ে মাশরাফির তোপের মুখে। একাই ৫ উইকেট নিয়ে ৪৫.৩ ওভারেই ২২৩ রানে অলআউট করে দেন শেখ জামালকে।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আজ টস জিতেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক নাসির হোসেন। তার অধীনে এই দলেই খেলছেন মাশরাফির মত ক্রিকেটারও। তবে ব্যাট করতে নেমে একপ্রান্তে বিজয় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেও শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বসে ধানমণ্ডির ক্লাবটি।

Advertisement

মাত্র ৮ রান করেই বিদায় নেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নেন ১ রান করে। ১১ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক নাসির হোসেন নিজে। মোহাম্মদ মিথুন করেন মাত্র ১৪ রান। অথ্যাৎ ৭৮ রানেই বিদায় নেন চারজন ব্যাটসম্যান।

অন্যদিকে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে কেবল সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন না বিজয়, রানও তুলছিলেন। এ সময় তার একজন সঙ্গী প্রয়োজন ছিল, যার সঙ্গে একটা দারুণ জুটি গড়ে তুলবেন। অবশেষে সেই সঙ্গীকে পেয়ে যান তিনি। মাঠে নামেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু’জন মিলে গড়েন ১২১ রানের বিশাল এক জুটি। ৪ উইকেটে ৭৮ থেকে দু’জন মিলে রান নিয়ে যান ১৯৯-এ।

এ সময় আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয় নিজে। আউট হওয়ার আগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের ৮ম সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করে যান। শেষ পর্যন্ত ১২২ বল খেলে ৬ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় করেন ১১৬ রান। মোসাদ্দেক হোসেন আউট হন ৪৯ রান করে। মাত্র ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। সানজামুল ইসলাম করেন ১৫ বলে ২৪ রান।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আবাহনীর পেসার মাশরাফির তোপের মুখে পড়ে শেখ জামাল। দুই ওপেনার ওপেনার জিয়াউর রহমান (১), সৈকত আলি (৩১), লেট অর্ডার আল ইমরান (২৪), নাজমুল হোসেনকে (৩) করেন বোল্ড। আবু জায়েদ রাহিকে করেন ক্যাচ আউট। তবে মিডল অর্ডারে শেখ জামালের অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ৮৩ রান করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।

Advertisement

এছাড়া জলজ সাহাই সাক্সেনা করেন ৪৩ রান। সৈকত আলি ৩১ ও আল ইমরান করেন ২৪ রান। মাশরাফি ছাড়াও মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি এবং ১টি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম ও সাকলায়েন সজিব।

আইএইচএস/জেআইএম