আইন-আদালত

খালেদার আপিল গ্রহণে সিদ্ধান্ত আজ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে দেয়া পাঁচ বছরের দণ্ড খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত আজ।

Advertisement

বৃহষ্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের সাজা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

খালেদার পক্ষে করা আপিল আবেদনে (আপিল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত) নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা ও জরিমানা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এ আপিলের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনও চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

তবে জামিনের মূল আবেদন আজ দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে। আপিলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির সময়ই জামিনের একটি সম্পূরক আবেদন উপস্থাপন করা হবে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট আবেদন শুনানির জন্য ঠিক করে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের কপি রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে সরবরাহ করার জন্য খালেদার আইনজীবীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিম্ন (বিচারকি) আদালত থেকে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার একদিন পরেই আপিল করা হয়। আপিলে ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে মোট ১২শ’ ২২ পৃষ্ঠার আপিলে আবেদনে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বাতিল চাওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আশা করি বৃহষ্পতিবারই খালেদা জিয়া জামিন পাবেন।

Advertisement

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, আমরা প্রস্তুত। আদালতে এ আপিলের বিরোধিতা করা হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায়ের জাবেদা নকল কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাতে পেয়েছেন সোমবার বিকেলে। এরপর আইনজীবীরা দফায় দফায় বৈঠক করে আপিল আবেদন চূড়ান্ত করেন।

আপিল আবেদনকারী আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান। ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেনসহ ২৮ জন আইনজীবী।

মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

এরপর আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি আপিল দাখিল করেছেন। সেটার জন্য আমরা এসেছি। বৃহষ্পতিবারের কার্যতালিকায় রাখার জন্য আবেদন করছি। পরে আদালত শুনানির এই দিন ঠিক করেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ বিচার শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেন।

এফএইচ/এমবিআর/পিআর