একুশে বইমেলা

বইমেলায় উৎফুল্ল শিশুরা, পছন্দে ‘ভূত’

কেউ দেখছে বই, কেউবা ঘোরাঘুরি। আবার কোনো কোনো শিশুরা বইমেলায় লাফালাফিতে ব্যস্ত। সব মিলে ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিনে অমর একুশে বইমেলায় উৎসবমুখর সময় কাটাচ্ছে শিশুরা।

Advertisement

অন্যান্য দিনগুলোতে পাঠকেরা বিচ্ছিন্নভাবে আসলেও ছুটির এ দিনটিতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মেলায় আসার সংখ্যাটাই বেশি। আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের বইটি কিনছে শিশুরা। তবে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভূতের বই। এছাড়াও আগামীর প্রযুক্তি আর বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলোও আগ্রহ নিয়ে কিনছে শিশুরা।

বুধবার অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি অংশে গিয়ে চোখে পড়ে শিশুদের বইয়ের স্টলগুলোতে অভিভাবক ও শিশুদের ভিড়। প্রায় প্রতিটি স্টলে ১০-১৫ জন দাঁড়িয়ে বই দেখছেন।

প্রকাশক ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে- টোনাটুনির গল্প, ভূতগুলো খুব দুষ্টু ছিল, অনেকগুলো ভূতের গল্প, ভূতের নাম হাবাগঙ্গারাম, পরিটি উনিশ দিন ছিল, হালুম, ‘ইশপের গল্প, আলীবাবা ৪০ চোর, গল্পগুলো ভয়ংকর, জমিদার বাড়িতে ভয়ংকর ভূত, হরতালের ভূতবাবা, ভূত ও পরী, ভয়, তুমি কেমন বুদ্ধিমান, বিজ্ঞান কি বলে, নিজে নিজে বিজ্ঞানী হও, নলেজ এনসাইক্লোপিডিয়া, রবি কিশোর, সাগর তলের মৎস্য কন্যা, সিন্ড্যারেলা ইত্যাদি বইগুলো।

Advertisement

মেলায় স্থাপিত শিশু একাডেমির স্টলেও ছিল শিশু আর অভিভাবকদের ভিড়। স্টলটি থেকে নিজেদের পছন্দমতো বই কিনছে শিশুরা। আবার অনেক অভিভাবককে দেখা গেছে তাদের পছন্দমতো শিশুদের বই কিনে দিতে।

শিশু একাডেমির কর্মকর্তা কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এবার মেলায় আমাদের ২৮০টি নতুন বই এসেছে। শিশুরা ভূত নিয়ে লেখা বই বেশি পড়তে ভালোবাসে।

এছাড়া হাসির কমিক্স, জীবনী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইও বাছাই করছে তারা। শিশু একাডেমির স্টলে আসিফুর রহমানের ‘পান্তাকুড়ি’ ইমদাদুল হক মিলনের ‘বাঘের গলায় হরিণ শিশু’, ভাই-বোনের গল্প, সুকুমার রায়ের নির্বাচিত গল্পের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ভিড় ছিল শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের স্টলে। দোকানের বিক্রয়কর্মী নাহিয়ান ইসলাম শিহাব জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিন সকাল থেকেই শিশুরা মেলায় ভিড় জমিয়েছে। আমাদের স্টলে স্বপ্নপুরী, নীতিশিক্ষা, ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প’ বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল টোনাটুনি, শিশুপ্রকাশ আর শিশুঘরের স্টলে। বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শিশু চত্বরে আনন্দ উল্লাস করেছে শিশুরা। সিসিমপুরের মঞ্চে একসঙ্গে লাফালাফি করছে তারা।

মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি থেকে আগত ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রনি জাগো নিউজকে বলেন, বাবা-মা’র সঙ্গে সকালে বইমেলায় এসেছি। ৩টি ভূতের বই কিনেছি আর একটি কমিক্স। বাবার পছন্দে একটি মুক্তিযুদ্ধের বইও কিনেছি।

আরএমএম/এআর/এমআরএম/জেআইএম