দেশজুড়ে

কলেজছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আশ্রাফুল ইসলাম মাদবর মিঠুন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিঠুন জাজিরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের খোড়াতলা গ্রামের আব্দুল মান্নান মাদবরের ছেলে আশ্রাফুল ইসলাম মাদবর মিঠুন (২৯)।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মিঠুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মিঠুন ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ওই ছবি ও ভিডিওকে পুঁজি করে মিঠুন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরিবারের সম্মতিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিয়ে করেন ওই ছাত্রী। বিয়ের পর ওই ছাত্রী মিঠুনের ডাকে সাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে মিঠুন ক্ষিপ্ত হয়ে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এছাড়ও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ওই ছাত্রীর স্বামীর হাতে তুলে দেন। এখন তাদের সংসার ভাঙার উপক্রম।

জাজিরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মাদবর জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হাতে পাই। কমিটি হওয়ার তিন মাস পরে জানতে পারি আশ্রাফুল ইসলাম মাদবর মিঠুন আমাদের কমিটিতে আছে। এরপর থেকে ওকে আমরা চিনি। তবে মিঠুন যা করেছে তা জঘন্য। আমাদের কমিটির সম্মানহানি করেছে। এইসব জঘন্য কাজ যারা করে তাদের কমিটিতে না রাখাই ভালো। শুনেছি জেলা কমিটি মিঠুনকে বহিষ্কার করেছে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনামুল হক মুন্সী জাগো নিউজকে বলেন, আশ্রাফুল ইসলাম মাদবর মিঠুন জাজিরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। মিঠুন যে কাজটি করেছে দলের সম্মান নষ্ট করেছে। তাই মিঠুনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Advertisement

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, মিঠুনের ঘটনাটি গতকাল শুনেছি। তবে থানায় কেউ এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলছি।

ছগির হোসেন/আরএআর/পিআর