মুম্বাইয়ের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। এক চিঠিতে ওই ছাত্রী তার স্কুলের শিক্ষিকার কাছে কাগজে লিখে এ কথা জানায়।চিঠিতে ওই ছাত্রী লিখে, প্রতিদিন ধর্ষণ করে বাবা। আর মা এসে খেতে দেয় ওষুধ। সাত বছর বয়স থেকে চলছে এসব। চিঠিটা পড়ার পর ছিড়ে ফেলে দেন ওই শিক্ষিকা। তারপর একটি স্বেচ্চসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কিশোরীর বাবকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের নিম্ন আদালত ওই ধর্ষককে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। তবে এই ঘটনায় ধর্ষিতর মাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার শাহজি উমাপ জানান, মায়ের দেয়া ওই ওষুধগুলো গর্ভ নিরোধক কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ১৩ বছরের ওই কিশোরীর বাবা পেশায় ফল বিক্রেতা। ধষর্কের আরো এক মেয়ে ও ছেলেও রয়েছে।ওই কিশোরী জানায়, বাকি ভাই বোনরা বাড়ির বাইরে থাকলে তার ওপর অত্যাচার চালাত বাবা । তবে গোটা বিষয়টি ঘটত মায়ের সামনেই। বারবার মাকে বলেও লাভ হয়নি। তার মা উল্টে কতকগুলো ওষুধ তাকো খাওয়াতেন। এদিকে ধর্ষিতার মা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১৫ দিন আগেই মেয়ের কাছ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানেন তিনি। তারপরই স্বামীকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্কুলে যৌন হেনস্থা নিয়ে কাউন্সেলিংয়ের পর পুরো বিষয়টি চিঠিতে লিখে তার শিক্ষিকাকে জানায় ওই কিশোরী।এসকেডি/এমআরআই
Advertisement