জাতীয়

বেসরকারি হজযাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ ডাটা ওয়েবসাইটে আপলোডের নির্দেশনা

বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ছবি ওয়েবসাইটে আপলোডের জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- হজযাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ ডাটা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর নিয়ম থাকলেও বেশ কিছু এজেন্সির কাছ থেকে এখনো প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় তা পাঠাতে পারছেনা ধর্ম মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (হজ) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সম্প্রতি এক চিঠিতে আগামী ২৪ জুলাইয়ের শেষ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ওই সময়ের মধ্যে তথ্য-উপাত্ত ও ছবি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে এজেন্সিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়াও বেসরকারি হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও ইউনাইটেড এজেন্ট অফিসের দেয়া বারকোড/স্টিকার ইলেকট্রনিক (ই) হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করতে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়- নির্দেশনাগুলো মেনে ভিসা লজমেন্ট করতে হবে অন্যথায় ই-ইজ ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে। হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ এ ব্যাপারে এজেন্সিগুলোকে সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে ঢাকা হজ অফিস।হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বুধবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, কিছু কিছু এজেন্সির পাসপোর্ট ও আবেদনপত্রের তথ্য-উপাত্তে ভুল থাকার কারণে এখনো পর্যন্ত ওয়েবসাইটে আপলোড করা সম্ভব হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয় ছোটখাট ভুলক্রুটি সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সেগুলো যাচাইবাছাই ও সংশোধনের কাজ চলছে। আগামীকালের মধ্যে তা সংশোধন করে নির্ধারিত ২৪ জুলাইয়ের মধ্যেই হজযাত্রীদের পাসপোর্টের তথ্য-উপাত্ত ও ছবি ওয়েবসাইটে আপলোড করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, ভিসা প্রক্রিয়ায় কোন জটিলতা না হয় সে জন্য ধর্মমন্ত্রণালয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এ কারণে হজ ভিসার ক্ষেত্রে কোন বড় ধরণের সমস্যা হবে না বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্দেশনাসমূহ নিম্নরুপ :বারকোড/স্টিকার হজ এজেন্সিগুলো প্রতিটি পাসপোর্টে সংযোজন করে ভিসার জন্য হজ অফিস ঢাকায় জমা দেবে। হজযাত্রীর নাম অপরিবর্তিত রেখে তার বা পিতার কিম্বা জন্ম তারিখের একটি বা দুটি ডিজিটের ইংরেজি বানানে কোন করণিক ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য মালিকরা হজ অফিসে আবেদন করবেন।এ বছর বাসের টিকেটের বদলে বারকোড/স্টিকার প্রদান করা হবে। প্রত্যেক হজযাত্রীর পাসপোর্টে তা সংযুক্ত করে রিডার মেশিনের মাধ্যমে ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করতে হবে। ইউনাইটেড এজেন্ট অফিসের দেয়া পদ্ধতি অনুযায়ী হজ যাত্রীদের ডাটা তৈরি করে প্রত্যেক হজ যাত্রীর বারকোড/স্টিকার নম্বর এন্ট্রির ব্যবস্থা স্ব স্ব এজেন্সি গ্রহণ করবে। চলতি বছর সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের (ওজারাতুল হজ) ehaj@sejeltech.com এ ই-মেইল করে স্ব স্ব এজেন্সিকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। ওজারাতুল হজের https://ehaj.haj.gov.sa এবং মোবাইল নম্বর ০০৯৬৬৯২০০২৬২৬৫।২০১৫ সালের হজে এক এজেন্সির পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য এজেন্সির ভিসা লজমেন্ট করলে তা কর্তৃপক্ষ রেডভুক্ত করবে।চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ এজেন্সির হজযাত্রী যাচাইবাছাই করে তালিকা সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের ই হজ সিস্টেমে ভিসা অনুরোধ পাঠাতে হবে। যাদের তালিকা সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট ই-হজ সিস্টেমে পাঠানো হবে তাদের নামেই বারকোডসহ ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আসবে।হজযাত্রীদের পাসপোর্ট যেহেতু ঢাকা হজ অফিস থেকে সৌদি দূতাবাসে পাঠানো হবে তাই তাদের পাসপোর্ট, ব্যাংক তালিকা ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র যাচাইবাছাই করা ছাড়া ভিসা দেয়া হবে না। ভিসা দ্রুত সম্পন্ন করতে তাই একসঙ্গে অনেক পাসপোর্ট না পাঠিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভিসার জন্য পাসপোর্ট সৌদি দূতাবাসে পাঠাতে হবে। ভিসা লজমেন্ট কেন্দ্রে প্রতিটি এজেন্সি তার নিজস্ব জনবল দিয়ে কম্পিউটার ও পাসপোর্ট স্ক্যানার ব্যবহার করতে পারবে।ব্যাংক তালিকা ও পুলিশ প্রতিবেদন ছাড়া কোন ব্যক্তির পাসপোর্ট ভিসা লজমেন্ট করা যাবেনা। এক এজেন্সির পাসপোর্ট অন্য এজেন্সিতে লজমেন্ট করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement