বিশেষ প্রতিবেদন

ভারতে নেয়া হবে ফারাতুলকে, আরও টাকা প্রয়োজন

আর মাত্র ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন শিশু ফারাতুল মাহমুদ হাসানের চিকিৎসার জন্য। এই পরিমাণ টাকা জোগার হলেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে ভারতের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে (সিএমসি ভেলোর) নেয়া হবে। ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

Advertisement

গত ২৩ ডিসেম্বর ফারাতুলের চিকিৎসা সহযোগিতা নিয়ে জাগো নিউজসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এসব হৃদয়বান মানুষ প্রায় ২৩ লাখ টাকা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ফারাতুলের। আর মাত্র প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা।

ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের হেমাটোলজি বিভাগে ভর্তি করানো হবে ফারাতুলকে। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে সে একই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আবি আব্রাহামের অধীনে চিকিৎসা নিয়ে আসছে।

ফারাতুলের বাবা সাদেকুল ইসলাম শিমুল জাগো নিউজকে জানান, সিএমসি হসপিটালে নেয়ার পরই ফারাতুলকে প্রথমে কিছু ক্যামো দেয়া হবে। এরপর তার বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করা হবে। এজন্য ডোনার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে তার খালাকে (স্ত্রীর ছোট বোন) সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

তিনি বলেন, বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের পর সেখানে প্রায় ৪ মাস থাকতে হবে। পুরো সময়টি ফারাতুল হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকবে। সঙ্গে আমি, আমার স্ত্রী ও ছোট ছেলে ফারদিন হাসানও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ফারাতুলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এটি এত ব্যয়বহুল একটি চিকিৎসা, যা সবার করানো সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমি-জায়গা সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। এখন প্রায় নিঃস্ব আমি। তবুও চাই আমার সন্তান বেঁচে থাকুক।

দেশের হৃদয়বান মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাদেকুল ইসলাম বলেন, ফারাতুলের চিকিৎসা ব্যয় যখন বহন করতে পারছিলাম না তখন দেশের গণমাধ্যমগুলোর সহযোগিতা নিয়েছি। গণমাধ্যমের কল্যাণে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যক্তি উদ্যোগে আরও ১৫ লাখসহ সব মিলে মোট ২৩ লাখ টাকা সহযোগিতা পেয়েছি। যা রীতিমতো অবাক করা ব্যাপার।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যে এখনও আরেকজনের বিপদের ঝাঁপিয়ে পড়েন সেটার প্রত্যক্ষদর্শী ও সুফলভোগী আমি। দেশের মানুষের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।

Advertisement

অসহায় এ বাবা বলেন, আর মাত্র ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কেউ সহযোগিতা করলে হয়তো বাঁচাতে পারবো আমার ছেলেকে। সম্ভব হলে শেষবারের মতো হৃদয়বান মানুষগুলো পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ৮ বছর বয়সী শিশু ফারাতুল মাহমুদ হাসান দীর্ঘদিন ধরেই হেপাটাইটিস-সি, লিউকোমিয়া ও ই-বিটা থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতিমাসে তাকে ৫ ব্যাগ করে রক্ত দিতে হয়। ফারাতুল মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখা ২য় শ্রেণিতে পড়ে।

ফারাতুলের বিষয়ে আরও জানতে যোগাযোগ করতে পারেন তার বাবার ০১৮৬৪-২৯১৩২৭ নম্বরে। এছাড়াও সহযোগিতা পাঠাতে পারেন মো. সাদেকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৭৮১-৫১১১-০৬০৫, ডাচ বাংলা ব্যাংক, রামপুরা শাখা। বিকাশ করতে পারেন ০১৯৭৯৬৪৪৮৮৮ (ব্যক্তিগত) নম্বরে।

এমএএস/এমএস