ধর্ম

নেককার বান্দাদের জন্য জান্নাতের নেয়ামতের ঘোষণা

সুরা আল-হিজরে ৪৫-৪৮ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাদের পরকালীন জীবনের সফলতা ও সুখ-শান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘পক্ষান্তরে মুত্তাকি (আল্লাহ ভিরু) লোকেরা থাকবে বাগান ও ঝর্ণাধারা মধ্যে। এবং তাদেরকে বলা হবে তোমরা এগুলো শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে প্রবেশ কর। তাদের মনে যে সামান্য পরিমাণ মনোমালিন্য থাকবে তা আমি বের করে দেব। তারা পরস্পর ভাই-ভাইয়ে মিলিত হয়ে মুখোমুখি আসনে বসবে। সেখানে তাদের না পরিশ্রম করতে হবে আর তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।’ মুমিন বান্দাদের জন্য এ হলো আল্লাহ পাকের সুমহান ঘোষণা।

Advertisement

হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতি লোকেরা জান্নাতের খাবার পাবে এবং সেখানকার পানীয় পান করবে। কিন্তু সেখানে তাদের পায়খানার প্রয়োজন হবে না। তাদের নাকে ময়লা জমবে না। তারা পেশাবও করবে না। ঢেকুরের মাধ্যমে তাঁদের সব খাবার হজম হয়ে যাবে। (ঢেকুরের মাধ্যমে যে বাতাস বের হবে) তা থেকে কুস্তুরির ন্যায় সুঘ্রাণ বেরিয়ে আসবে। তাঁরা তথায় শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের মতো করে ‘সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুল্লিাহ’ ইত্যাদি তাসবিহ ও তাকিবর উচ্চরণ করতে থাকবে। (মুসলিম) আর সবাই মুমিন বান্দার জন্য মহান রবের অনুগ্রহ।

মুমিন বান্দার জন্য জান্নাতের নেয়ামতের কথা হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় প্রিয়নবি বলেছেন, আল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার পূণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন সব নেয়ামত সামগ্রী তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চোখ কখনো দেখেনি; কোনো কানও তার বর্ণনা কখনো শুনেনি। তাছাড়া কোনো মানুষ কখনো তা প্রত্যক্ষ করেনি; কেউ কোনো দিন তা ধারণা করতে পারেনি।’ এ কথাগুলোর সমর্থনে তোমরা কুরআনের পাকের এ আয়াতটি তেলাওয়াত করতে পার-‘সৎ কাজের প্রতিদান স্বরূপ তাদের জন্য চোখ শীতলকারী যে সব সম্পদ-সামগ্রী গোপন রাখা হয়েছে, কোনো প্রাণীই তার খবর রাখে না।’ (সুরা হামীম আস-সিজদা : আয়াত ১৭) (বুখারি ও মুসলিম)

আর বান্দা এ সব নেয়ামত তখনই লাভ করতে পারবে; যখন মহান প্রভুর বিধি-বিধান নিজেদের জীবনে প্রতিপালনের মাধ্যমে সমাজে বাস্তবায়ন করতে পারবে।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ কুরআন ও হাদিসে ঘোষিত জান্নাতের নেয়ামতসমূহ লাভে তার বিধি-বিধান যথাযথ বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি