রাজনীতি

নির্বাচনে কারচুপি প্রতিরোধের অপেক্ষায় বিএনপি : হাফিজ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে কারচুপি প্রতিরোধের জন্য অপেক্ষায় আছি আমরা। ইদানীং আমরা যে কর্মসূচি পালন করছি তাতে নতুন করে আমরা অহিংসাবাদে দীক্ষা নিয়েছি।’

Advertisement

তিনি বলেন, তার মানে চিরকাল আমরা বসে বসে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখব না। আমরা অপেক্ষায় আছি কবে আওয়ামী লীগের শুভবুদ্ধির উদয় হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘যদি তারা দেশনেত্রীকে মুক্তি না দেন, যেটি তার প্রাপ্য, এবং এ কারচুপির নির্বাচন করার জন্যে সুজাতা সিংদের পরামর্শ নিয়ে আবারও ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়নে এগিয়ে যান, তাহলে আমরা এ গান্দিবাদী রাজনীতি করব না। বাংলাদেশের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে যা করা দরকার তা বিএনপি করবে।’

Advertisement

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি মিথ্য মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। ব্যাংকে টাকাতো সব আছে, তাহলে চুরিটা হলো কোথায়? তবে কি বিচারবিভাগ বোঝে না এসব? আমরা সবাই জানি, বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলে থাকেন, আমাদের নিম্ন আদালত স্বাধীন নয়। এটি ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গুলি হেলনে পরিচালিত হয়ে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজকে জেলে, অসুবিধা নাই, জেলে থাকা উচিত, মাঝে মধ্যে রাজনীতিবিদরা জেলে গেলে চিন্তা-ভাবনা করা, আত্ম-উপলব্ধি করার সময় পান। নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য সময় পান। আমরা সবাই জানি মুক্ত খালেদা জিয়ার চেয়ে বন্দি খালেদা জিয়া আরও শক্তিশালী।

তিনি বলেন, ‘সরকার কী চাচ্ছে? তারা ডিসেম্বর মাসে একবিংশ শতাব্দীর এবং অতীত দিনের সবচাইতে বড় কলঙ্কজনক একটি নির্বাচনী কারচুপি অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। কীভাবে করবে তার অর্ধেক কাজ ইতোমধ্যেই শেষ করেছে। আজ্ঞাবহ একটি নির্বাচন কমিশন বসিয়েছে, আইন-কানুন চেইঞ্জ করেছে। নির্বাচনের সময় আরও একটি সংসদ বহাল থাকবে, যা পৃথিবীর কোথাও নেই। বিএনপি যদি জেতে তাহলে বলবে নির্বাচন ঠিক হয় নাই, আগেরটাই বহাল থাকুক।’

উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে এ বীরবিক্রম বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করেছি। আজকে সেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিপন্ন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন নাই। এগুলো বাংলাদেশের মানুষকে আবার লড়াই করে আবার অর্জন করতে হবে। সেই লড়াই আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত আছি, আবার একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করব।’

Advertisement

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

এমএম/জেডএ/আইআই