তথ্যপ্রযুক্তি

লাইসেন্স পেল চার অপারেটর, চালু হলো ফোরজি সেবা

গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালুর লাইসেন্স পেল। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চারটি মোবাইল অপারেটরদের হাতে ফোরজির লাইসেন্স তুলে দেয়। লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই দেশের চার অপারেটর ফোরজি নেটওয়ার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটকের কাছে ফোরজির লাইসেন্স হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ঐতিহাসিক এ অর্থে যে আজ বাংলাদেশ ফোরজির যুগে পা রাখলো। আশা করি, টেলিকম অপারেটররা গ্রাহকদের চাহিদা মেটাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেলিকম অপারেটরদের আরও সেবার মান বাড়াতে হবে। কারণ জনগণ আপনাদের সেবার জন্য পয়সা খরচ করে।’

Advertisement

শুরুতে গ্রামীণফোন ঢাকার কিছু অংশে ফোরজি চালু করে। অন্যদিকে বাংলালিংক ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেটে একযোগে ফোরজি চালু করে। এছাড়াও রবি ঢাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক চালুর ঘোষণা দিয়েছে। যদিও সরকার সংস্থা টেলিটক ফোরজির লাইসেন্স পেলেও ফোরজি চালুর ঘোষণা দেয়নি।

বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় নিলামের মাধ্যমে ফোরজি তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়। নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। গ্রামীণফোন নিলামে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। গ্রামীণফোনের এখন তরঙ্গের পরিমাণ ৩৭ মেগাহার্জ।

নিলামে বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ এবং ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫.৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। অপারেটরটির মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩০.৬।

নিলামে রবি ও টেলিটক অংশ না নিলে তাদের যে টুজি ও থ্রিজি ব্যান্ডে যে তরঙ্গ রয়েছে তা ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে ব্যয় করতে পারবে। কেননা, বিটিআরসি নতুন এক নির্দেশনায় অপারেটরগুলোকে টেক নিউট্রালিটি দিয়েছে। ফলে অপারটরগুলোর অব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ফোরজিতে ব্যবহারে বাধা নেই।

Advertisement

রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার ফলে তাদের তরঙ্গও একীভূত হয়েছে। রবির এখন মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩৬.৪। টেলিটকের তরঙ্গ আছে ২৫.২ মেগাহার্জ।

আরএম/জেএইচ/আরআইপি