আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে খুশি গোনাহের জীবন থেকে তাওবার করার সুযোগ দান করেন। তাওবার মাধ্যমে বান্দার যাবতীয় পাপ মোচন করে দেন। এটা মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর এ মহা অনুগ্রহ লাভের একটি আমল হলো তাঁর গুণবাচক নাম (اَلتَّوَّابُ) আত-তাওয়্যাবু’-এর আমল করা।
Advertisement
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম আছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির (আমল) করবে; সে জান্নাতে যাবে।’ জান্নাত পাওয়া ঘোষণা ছাড়াও রয়েছে অনেক ফজিলত।
আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلتَّوَّابُ) ‘আত-তাওয়্যাবু’ একটি। এ গুণবাচক নামের আমলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাওবায়ে নসুহা দান করেন। দুনিয়ার যাবতীয় পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ লাভ করেন।
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلتَّوَّابُ) আত-তাওয়্যাবু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো
Advertisement
উচ্চারণ : ‘আত-তাওয়্যাবু’অর্থ : ‘তাওবা কবুলকারী; ক্ষমাশীল।’
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْبَرُّ)-এর আমল
ফজিলত ও আমল
>> যে ব্যক্তি চাশতের নামাজের পর আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম (اَلتَّوَّابُ) আত-তাওয়্যাবু’ ৩৬০ বার পড়ে আল্লাহ তাআলা তাকে তাওবায়ে নসুহার সুমহান সুযোগ দান করেন।
Advertisement
>> কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলার এ গুণবাচক নাম (اَلتَّوَّابُ) আত-তাওয়্যাবু’ সব সময় বেশি বেশি পাঠ করে; তবে তার সব কাজকর্ম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদন হয়।
>> কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা গুণবাচক নাম (اَلتَّوَّابُ) আত-তাওয়্যাবু’ নিয়মিত বেশি বেশি পাঠ করে তবে সে ব্যক্তির আল্লাহর তাআলার ইবাদতে প্রশান্তি লাভ করবে।
সুতরাং যে ব্যক্তি চাশতের নামাজের পর এ দোয়া পড়বে-اَلَّلهُمَّ اغْفِرْلِىْ وَ تُبْ عَلَىَّ اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْم‘আল্লাহুম্মাগফিরলি; ওয়া তুব আলাইয়্যা; ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুর রাহিম’আল্লাহ সে ব্যক্তির পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর গুণবাচক নামের আমলের মাধ্যমে তাওবা নসুহার সুযোগ লাভ এবং ইবাদতে প্রশান্তি লাভকারী হিসেবে কবুল করুন। পরকালে আল্লাহর নৈকট্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আইআই