চার অর্থবছরে (২০১৪-১৫ থেকে ১৭-১৮ পর্যন্ত) ৯৯৯ জন হজ প্রতিনিধির পেছনে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ১০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এমপি মো. আবদুল মতিনের এক লিখিত প্রশ্নে জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি জানান, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখাশোনাসহ হজ ব্যবস্থাপনার জরুরি দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন দলে (হজ প্রতিনিধি দল, হজ প্রশাসনিক দল, হক চিকিৎসক, হজ কারিগরি দল এবং হজ চিকিৎসক কারিগরি দল) অন্তর্ভুক্ত করে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতর, বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাদের পেছনে ওই অর্থ ব্যয় হয়েছে। তবে, সরকারি খরচে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হজে পাঠানো হয় না। ধর্মমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকারি খরচে কোনো হজযাত্রী পাঠানো হয়নি। মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে জাতীয় হজ এবং ওমরাহ নীতি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজে পাঠানো হচ্ছে।
এ হিসেবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১২৫ জন হজ প্রতিনিধির পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৬৬ জনের পেছনে ২৯ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৮৮ জনের পেছনে সাড়ে ২৯ কোটি এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩২০ জনের পেছনে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে সাড়ে ৩৩ কোটি টাকা।
সারা দেশে আড়াই লাখ মসজিদ
Advertisement
এমপি শেখ মো. নুরুল হকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামি ফাউন্ডেশনের মসজিদ জরিপ-২০০৮ অনুযায়ী সারাদেশে মসজিদের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ৩৯৯টি।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি অর্থবছরে নির্ধারিত আবেদন ফরমের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ থাকা সাপেক্ষে মসজিদের অনুদান মঞ্জুর করা হয়। এর অংশ হিসেবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৫৬টির অনুকূলে ১১ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৯৯ মসজিদের জন্য ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়। তবে, দেশের সব মসজিদে সরকারি অনুদান সমভাবে পৌঁছানোর কোনো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নেই।
এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জামে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনকে সরকারিভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা আপাতত নেই।
এইচএস/জেডএ/পিআর
Advertisement