দেশজুড়ে

এগিয়ে চলছে মেঘনা নদীর উপর ২য় রেলওয়ে সেতুর কাজ

ভৈরবে মেঘনা নদীর উপর ২য় রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ সেতুর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫শ ৬৭ কোটি টাকা। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।বর্তমানে সেতুর ৪৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. আব্দুল হাই জানিয়েছেন। ভারতীয় ঠিকাদার ইরকোন ও এফকোন কোম্পানি এ সেতুর নির্মাণ কাজ করছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ৩ বছরের মধ্যে সেতুটির কাজ সম্পন্ন হবে। জানা গেছে, ভৈরবে মেঘনা নদীর উপর নির্মিতব্য রেলওয়ে সেতুটিতে মোট ১২টি পিলার হবে। তার মধ্যে নদীতে ৯টি এবং ভৈরব আশুগঞ্জ পাড়ে ৩ টি। বর্তমানে নদীতে ৩ টি পিলার পানির উপরে উঠে গেছে ও ৬ টি পানির নিচে কাজ চলছে। ভৈরব আশুগঞ্জ পাড়ে ৩ টি পিলারও ওঠে গেছে। দিন রাত কাজ চলছে। সবগুলো পিলার উপরে উঠে গেলে পরে গার্ডার লাগানোর কাজ শুরু হবে।গার্ডারগুলো বর্তমানে ভারতে নির্মাণ করা হচ্ছে। পিলারের কাজ সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে ভারত থেকে গার্ডারগুলি এনে ফিটিং করা হবে। এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৯শ ৮৪ মিটার (১ কিলোমিটার থেকে ১৬ মিটার কম) এবং প্রস্থ হবে ৭ মিটার। নির্মিত এ সেতুতে ডুয়েলগেজ ও ব্রডগেজ দুটি লাইন থাকবে। আগের পুরনো সেতুতে একটি লাইন থাকলেও ব্রড গেজ ছিল না। পুরনো রেলওয়ে সেতুটিরও দৈর্ঘ্য প্রায় ১ হাজার ৪ গজ বলে জানা গেছে।এটি ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ঢাকা রেলওয়ে পথে যাত্রী যাতায়াতসহ মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে নির্মাণ করলেও ডাবল লাইন না থাকায় ট্রেনগুলো যাতায়াতের সময় ক্রসিংয়ে সময় নষ্ট হতো। এ সেতুটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নেয়াখালী, ঢাকা-চাঁদপুর রেলওয়ে পথে ট্রেন চলাচলে সময় কম লাগবে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানান।সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ভৈরবে মেঘনা নদীর উপর  মোট ৩টি সেতু হবে। তার মধ্যে একটি সড়ক সেতু ও দুটি রেলওয়ে সেতু। সেতুটিতে ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন কম সময়ে যথাস্থানে পৌঁছাতে পারলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে ভোগান্তিও অনেকটা কমবে বলে সংশ্লিষ্ট মনে করছেন। সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাই জানান, আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ে আগামী বছরে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। আসাদুজ্জামান ফারুক/এসএস/আরআইপি

Advertisement