আইন-আদালত

খালেদার রায়ের কপি আইনজীবীদের হাতে, জামিন আবেদন কাল

রায় ঘোষণার ১২ দিন পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

Advertisement

রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর খালেদার আইনজীবীরা জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। ওই দিন থেকেই রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রয়েছেন বেগম জিয়া।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, জিয়াউদ্দিন জিয়া ও এম হেলাল উদ্দিন হেলালের হাতে ১১৬৮ পৃষ্ঠার এ রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেন আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন। ১১৬৮ পৃষ্ঠার এ রায়ের সার্টিফায়েড কপির সঙ্গে, আদেশ যোগ হয়েছে আরও ৬ পৃষ্ঠা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফায়েড কপি আমরা হাতে পেয়েছি। আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করবো।

Advertisement

আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের ১১৬৮ পৃষ্ঠার সার্টিফায়েড কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের হাতে দেয়া হয়েছে।

এর আগে রোববার বিচারক খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বলেন, সোমবার আপনাদের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেয়া হবে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার কার্টিজ পেপার আদালতে জমা দেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রায় মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার। এটি অনুলিপির (সার্টিফায়েড কপি) পর দলিলের (কার্টিজ পেপার) কাগজে প্রিন্ট হয়ে পৃষ্ঠার সংখ্যা হয়েছে ১১৬৮।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

Advertisement

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। রায়ের পরই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

জেএ/এআরএস/জেএইচ/পিআর