জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১২ দিন ধরে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সার্টিফায়েড কপি না মেলায় জামিন আবেদন করতে পারেননি তিনি। অবশেষে হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পথ সুগম হচ্ছে আজ সোমবার। চলছে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের শেষ মুহূর্তের কাজ।
Advertisement
রায় মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার। এটি অনুলিপির (সার্টিফায়েড কপি) পর দলিলের (কার্টিজ পেপার) কাগজে প্রিন্ট হয়ে পৃষ্ঠার সংখ্যা হয়েছে ১১৬৮। প্রতিটা পৃষ্ঠায় বিচারকের সীল ও স্বাক্ষরের কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হবে আজ দুপুরের পর। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের তত্ত্বাবধানে ৩-৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পুরোদমে কাজ করছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর পেশকার মোকাররম হোসেন সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে জিয়া অরফানেজ মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আইনজীবীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খালেদার ৬৩২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় কার্টিজ পেপারে প্রিন্ট দেওয়ার পর দাঁড়িয়েছে ১১৬৮ পৃষ্ঠায়। প্রতি পৃষ্ঠায় বিচারকের সীল ও স্বাক্ষর থাকবে এবং চলছে তার কাজ। আজ দুপুরের পর আইনজীবীদের হাতে তা দেয়া হবে।
Advertisement
এর আগে রোববার বিচারক খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বলেন, সোমবার আপনাদের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেয়া হবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার কার্টিজ পেপার আদালতে জমা দেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত বলেছেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। রায়ের পরই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
Advertisement
জেএ/এআরএস/এমএস