মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য সারা দেশ থেকে অনলাইনে এবং সরাসরি মোট এক লাখ ৪২ হাজার ৯৫০টি আবেদন জমা পড়েছে। এদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৪৭০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
Advertisement
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ইকবালুর রহীম ও কামরুল লায়লা জলি অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ষষ্ঠ তালিকার কাজ শুরু করেছে। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করতে ৪৭০টি গঠন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তালিকা চূড়ান্ত না হলেও এ মুহূর্তে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ৩১ হাজার ৩৮৫।
বৈঠকে জানানো হয়, ইতোমধ্যে ৩৭৩টি কমিটির যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ৯৭টি কমিটির প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২৯ হাজার ৩৭২ জন আপিল আবেদন জমা পড়েছে। যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা থাকবে না বা কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়বে না।
Advertisement
বৈঠকে ঢাকাস্থ সেগুনবাগিচায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে লিজ প্রদানকৃত সম্পত্তির লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ওই জমির সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হওয়ায় উক্ত সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে দেয়া যায় কিনা- তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক করে বিদ্যমান পুরনো আইন সংশোধনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন নিয়ে কাজ করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষার্থে রাশিয়ার আদলে দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে দ্রুত প্যানোরমা ভবন নির্মাণকাজ শুরু করার পরামর্শ দেয়া হয়।
এইচএস/বিএ/জেআইএম
Advertisement