দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আকাশপথে পণ্য পরিবহনে (কার্গো) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো যুক্তরাজ্য। রোববার দুপুরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়।
Advertisement
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিমানমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর ধরে কার্গো নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন, বিমানসহ বিভিন্ন সংস্থার আন্তরিক সহযোগিতায় সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাজ্য সন্তোষ প্রকাশ করে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্লেকও বর্তমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়িত হওয়ায় আমরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলাম।
Advertisement
এর আগে বেবিচক জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জাগো নিউজকে কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও বেশকিছু শর্ত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। শর্তগুলো হলো- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদে দু’জন পরামর্শক নিয়োগ, এভিয়েশন সিকিউরিটিতে ইউকে মডেল অনুসরণ এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ যৌথভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে এ জন্য কাজ করেছে বেবিচক। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিভিন্ন অনুষঙ্গ যেমন- ইডিএস, ইডিটি স্থাপন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স সরেজমিন পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশপথে সরাসরি কার্গো পরিবহন স্থগিত করে যুক্তরাজ্য। সে সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশের সুযোগকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়।
আরএম/এমএআর/আরআইপি